দ্বিতীয় ধাপের টিকাদান কর্মসূচি শুরু
আজ দেশজুড়ে দ্বিতীয় ধাপের গণ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হতে যাচ্ছে।
দেশের প্রতিটি জেলার একটি নির্দিষ্ট টিকাদান কেন্দ্রে সিনোফার্মের ভ্যাকসিনের টিকাদান শুরু হয়েছে।
রাজধানীতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও মুগ্ধা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল- এ চারটি মেডিক্যাল কলেজে টিকাদান চলছে।
ঢাকার কেন্দ্রগুলোতে আজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুধু মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে।
মুগ্ধা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. অসীম কুমার নাথ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "আজ সকাল ৯টায় কোভিড-১৯ টিকাদান শুরু হয়েছে,"
হাসপাতালটিতে প্রতিদিন ৪০০ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
"প্রথম দিনে মুগ্ধা মেডিক্যাল কলেজের চূড়ান্ত বর্ষের ৬০জন শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হবে। তবে আগামীকাল থেকে এই কেন্দ্রে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীদেরও টিকা দেওয়া হবে," বলেন তিনি।
"জেলা পর্যায়ে সাধারণ মানুষকে টিকা দেওয়ার কথা রয়েছে, তবে আমাদেরকে এখনো এ ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। অন্যান্যদের ব্যাপারে সরকার কোনো নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত শুধু মেডিক্যাল, ডেন্টালের শিক্ষার্থী ও টেকনোলজিস্টদের টিকা দেওয়া হবে," যোগ করেন তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপের টিকাদান কর্মসূচিতে দশটি ক্যাটাগরির মানুষকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তারা হলেন, বাংলাদেশে বসবাসরত চীনা নাগরিক, সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, মেডিক্যাল, ডেন্টাল ও নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী, ইতোমধ্যেই যারা নিবন্ধন করেছেন এবং যে সব অভিবাসী শ্রমিককে জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরো বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে।
এছাড়া, নির্ধারিত সরকারি প্রকল্পে কর্মরত কর্মকর্তা, ঢাকার দুটি সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও কোভিডজনিত মৃতদের দাফন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদেরও সিনোফার্মের কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া হবে।
অন্যদিকে, কোভ্যাক্স কর্মসূচির মাধ্যমে পাওয়া ফাইজারের ভ্যাকসিন কাদেরকে দেওয়া হবে এখনো সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
বর্তমান তথ্য অনুযায়ী, সরকারের হাতে যতোগুলো টিকা রয়েছে তা দেওয়া শেষে দেশের মোট জনগোষ্ঠীর মাত্র ৩ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকাদানের আওতায় আনা সম্ভব হবে। হার্ড ইম্যিউনিটি অর্জনের জন্য কোনও দেশে মোট জনগোষ্ঠীর অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষের টিকাদান প্রয়োজন।