নারায়ণগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছেন হাইকোর্ট, আহতদের তালিকা প্রকাশ ও সুচিকিৎসার নির্দেশ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের (সেজান জুস) কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে হাইকোর্ট বলেছেন, 'হতাহতের ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। এটি সত্যিই মর্মান্তিক। আমরা এ ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছি।'
রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
ঘটনাটি নজরে আনা ও রিটকারী আইনজীবীদের উদ্দেশে আদালত বলেন, 'আগুনে পুড়ে ৫২ জন নিহতের ঘটনায় সারা দেশের মানুষের মতো আমরাও উদ্বিগ্ন। এ ঘটনায় ইতোমধ্যেই মামলা হয়েছে ও আসামিরা গ্রেপ্তার হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে কিছু টাকা অনুদানও দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আদেশ দিচ্ছি না। আগে লাশগুলো শনাক্ত হোক। এরপর আপনারা ক্ষতিপূরণের আবেদন নিয়ে আসুন। আদালতের দরজা সব সময় খোলা আছে।'
এ সময় আদালত সংশ্লিষ্টদের আহতদের তালিকা প্রকাশ করে তাদের চিকিৎসার সুব্যবস্থা করতে বলেন।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, ব্যারিস্টার অনিক আর হক ও অ্যাডভোকেট বদরুদ্দোজা বাবু।
এর আগে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিবারকে এক কোটি টাকা ও আহতদের ৩৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ লিগ্যাল অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ও সেফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটি রিট আবেদনটি করে।