পতেঙ্গা সৈকত থেকে ৩০০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে অবৈধভাবে গড়ে উঠা প্রায় ৩০০ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে এ অভিযান শুরু করেন সিডিএর বিশেষ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল আলম চৌধুরী। অভিযানে প্রায় আধা কিলোমিটার জায়গায় গড়ে উঠা এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল আলম চৌধুরী বলেন, ২০১৯ সালে সৈকতের সৌন্দর্য বর্ধন করে সিডিএ। তখন সৈকত থাকা দোকানগুলো পতেঙ্গা আউটার রিং রোডের পাশে খালি জায়গায় স্থানান্তর করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি আবারও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মূল সৈকতে কাঁচা ও কিছু সেমিপাকা স্থাপনা গড়ে তুলে। যে সড়ক দিয়ে পর্যটকেরা সৈকতে নামেন সেটির উভয় পাশ দখল করে তৈরি করা হয়েছে অবৈধ দোকানপাট। এতে পর্যটকদের হাঁটার জায়গা সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি সৈকতের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। তাই বুধবার সেখানে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩০০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।’
অভিযানে সিডিএর প্রকৌশলী মো. আশরাফসহ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের পুলিশের একটি টিম সহায়তা করে।
কর্ণফুলী নদী ও বঙ্গোপসাগরের মিলনস্থলে পতেঙ্গা সৈকতের অবস্থান। সৈকতপ্রেমী অনেকে বঙ্গোপসাগরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখানে আসেন।
এই সৈকতকে ঘিরে বর্তমানে হোটেল-মোটেলসহ বিভিন্ন অবকাঠামো গড়ে উঠছে। এ ছাড়া সিডিএ আউটার রিং রোড প্রকল্পের আওতায় পতেঙ্গা সৈকতে ৫ কিলোমিটার জায়গায় ওয়াকওয়ে, সুন্দর ও সুপরিসর আসন, খেলার মাঠ, সাগরে সাঁতারের পর গোসলের ব্যবস্থা, আধুনিক টয়লেট ও কার পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করেছে।