পথে পথে চেকপোস্ট
ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ থাকলেও পুলিশের জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে সবাইকে। যৌক্তিক কারণ ছাড়া পুলিশ কাউকেই ঢাকায় প্রবেশ ও বের হতে দিচ্ছে না। ব্যক্তিগত যানবাহন, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসসহ ছোট ছোট যানবাহন ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
তবে যারা চিকিৎসাসহ যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারছেন, তাদের ঢাকায় প্রবেশ বা ঢাকা থেকে বের হওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে যেন সরকারি নির্দেশনার বাইরে কোনো যানবাহন যেতে না পারে, সেজন্য কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।
তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তি যদি পায়ে হেঁটেও গ্রামের বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করে, তাকেও ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ঈদের আগে এবং পরে মহাসড়কে পুলিশ কঠোর অবস্থানে থাকবে। কোনো অবস্থাতেই পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে কেউ যেন ঢাকা বা নারায়ণগঞ্জ থেকে বের হতে না পারে, সেজন্য নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশের সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা ঘাট পর্যন্ত আটটি চেকপোস্ট বসিয়ে, গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের চেক করা হচ্ছে। যারা শপিং বা ঠুনকো অজুহাতে ঢাকায় প্রবেশের চেষ্টা করছেন, তাদের চেকপোস্ট থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশের এমন কঠোরতার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অনেকটাই ফাঁকা। তবে সাইনর্বোড থেকে একটু সামনে এগুলেই সানারপাড় এলাকায় গাড়ির জটলা। সানারপাড় চেকপোস্টে পণ্যবাহী যানবাহন, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, অ্যাম্বুলেন্স দ্রুত ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। আর অন্য যানবাহন এলে পুলিশের জেরার সম্মুখিন হতে হচ্ছে।
এত কিছুর পরও মহাসড়কের সাইনবোর্ড, শিমরাইল, কাচঁপুর, মদনপুর, মোগড়াপাড়া মেঘনাঘাটসহ বিভিন্ন বাস স্ট্যান্ডে ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভীড় দেখা গেছে।
কুমিল্লা যাওয়ার জন্য শিমরাইল মোড়ে অপেক্ষা করছিলেন শামীমা আক্তার। তিনি জানান, বছরের প্রথম ঈদটা পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে উৎযাপন করার চেষ্টা করছি। দুই ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি, কিন্তু যেতে পারছি না।
এদিকে সকাল থেকে জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম নিজে মহাসড়কে গিয়ে বিভিন্ন চেকপোস্ট পরিদর্শন তদারকি করেন। এ সময় তিনি ঢাকা থেকে বের হতে চেষ্টা করা অনেক গাড়ি ফিরিয়ে দেন। পুলিশ সুপারের পাশাপাশি জেলার আরও বেশ কয়েকজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহাসড়কে দাঁড়িয়ে কাজ তদারকি করেন।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক জিয়াউল করিম জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে সরকারি নির্দেশনার বাইরে কোনো যানবাহন যেন ঢাকা থেকে বের হতে না পারে, সেজন্য পুলিশ কঠোর অবস্থান নিয়েছে।