পরীমনি ইস্যুতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জড়ানোয় জিডি করলো সিটি ব্যাংক
চিত্রনায়িকা পরীমনি ইস্যুতে সিটি ব্যাংকের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জড়িয়ে অসমর্থিত, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করা হচ্ছে দাবি করে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার ব্যাংকটির হেড অব কোর্ট অপারেশন গাজী এম শওকত হাসান রাজধানীর গুলশান থানায় এ জিডি করেন।
জিডিতে তিনি লেখেন, "সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যম ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন অভিনেত্রীর বিতর্কিত কর্মকান্ডের সাথে কয়েকটি ব্যাংকের কর্মকর্তা সহ নানা পেশার বেশ কিছু মানুষের জড়িত থাকার বিষয়ে প্রকাশিত একটি তথ্য প্রচার করা হয়। উক্ত সংবাদের মধ্যে দি সিটি ব্যাংক লিঃ এর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জড়িত বলে একটি অসমর্থিত, মিথ্যা ও বানোয়ট তথ্য প্রচার করে। এই তথ্যকে পুজি করে সমাজের কিছু স্বার্থন্বেষী ব্যাক্তি, অসাধু শ্রেণীর প্রতারক ও চাপাবাজ শ্রেণীর লোক বিভিন্নভাবে ব্যাংকের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নাজেহাল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে অথবা থাকতে পারে বলে আশংকা রয়েছে। এরুপ অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিবর্গ এবং একটি স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যাবহার করে অত্র ব্যাংকের সুনাম ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টায় এবং ব্যাংক হতে অবৈধ পন্থায় অর্থ লাভের আশায় বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করছে এবং ভবিষ্যতে করতে পারে বলে আশংকা করা যাচ্ছে।"
জিডিতে দাবি করা হয়, অজ্ঞাতনামা স্বার্থান্বেষী মহলের এহেন কার্যক্রমে ব্যাংক এর উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা, মানসিক উদ্বিগ্নতার সৃষ্টি হচ্ছে।
সেখানে বলা হয়, "এ ঘটনায় অত্র ব্যাংক এবং এর উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দরা আশংকা প্রকাশ করছে যে, একটি সংঘবদ্ধ চক্র বা স্বার্থান্বেষী মহল উপরোক্ত পন্থায় অথবা অন্য কোন উপায়ে ব্যাংক হতে চাঁদাবজি ও প্রতারণার আশ্রয়ে আত্মসাতের অশুভ পাঁয়তারা করছে বা করতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। এ ধরনের সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র ভূয়া সংবাদ, কুৎসা এবং মিথ্যা-বানোয়াট তথ্য প্রচার করে ব্যাংকের কাছ থেকে চাদাঁবাজির উদ্দেশ্যে সাধারণ জনগণের টাকা আত্মসাতের বিষয়ে আশংকা থাকে বিধায় এরূপ চাদাঁবাজ-প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহ তাদের আইনের আওতায় আনা অত্যন্ত জরুরী, অন্যথায় ব্যাংক ও ব্যাংকের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।"