প্রতি মাসে ২৫ লাখ লোককে করোনার টিকা দেবে সরকার
দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে পর্যায়ক্রমে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনার পরিকল্পনা নিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, সরকার প্রতি মাসে ২৫ লাখ লোককে টিকা দেবে।
বৃহস্পতিবার সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট উপস্থাপনের সময় তিনি এই ঘোষণা দেন।
মন্ত্রী বলেন, 'পর্যায়ক্রমে ৮০ শতাংশ লোককে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের টিকা দেয়া হবে এবং প্রতি মাসে ২৫ লাখ টিকা দেয়া হবে।
সবার জন্য বিনামূল্যে টিকা দেয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া সাম্প্রতিক ঘোষণা প্রসঙ্গে কামাল বলেন, ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয় ডোজ সংগ্রহের জন্য যা ব্যয় হবে সেই তহবিল বরাদ্দ করব। বাজেটে এই লক্ষ্যে আমরা পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখব'।
তিনি বলেন, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচী (ইপিআই) এবং কমিউনিকেশন ডিজিজ কন্ট্রোলের (সিডিসি) মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগ করা হচ্ছে।
কামাল বলেন, কোভিড-১৯ থেকে মানুষের জীবন রক্ষার জন্য ইপিআইয়ের আওতায় জাতীয় স্থাপনা ও টিকাদান পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে।
তিনি জানান, চীন ও রাশিয়ার সরকার, আমেরিকা থেকে ফাইজার কোম্পানি, ফ্রান্স থেকে সানোফি এবং বেলজিয়াম থেকে জিএসকে ভ্যাকসিন ক্রয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। চীন থেকে সিনোফার্ম ভ্যাকসিন এবং রাশিয়া থেকে স্পুটনিক-ভি ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং প্রয়োজনে বাংলাদেশেই এই ভ্যাকসিন উৎপাদন করা হবে।
এদিকে, অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ৭০ লাখ ডোজ বাংলাদেশে পৌঁছেছে। ভারত ও চীন সরকার উপহার হিসাবে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের যথাক্রমে ৩২ লাখ ডোজ এবং ৫ লাখ ডোজ দিয়েছে বাংলাদেশকে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং টিকা প্রদান কার্যক্রম সহায়তার জন্য ১৪.৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে।
তিনি বলেন, 'করোনার ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য এডিবি'র সাথে ৯৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। পাশাপাশি, ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক এবং এআইআইবির কাছ থেকে ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য সহায়তা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।