১৯ জুলাইয়ের ক্যাম্পেইনের পর বুস্টার ডোজ পাওয়া অনিশ্চিত
আগামী ১৯ জুলাই বিশেষ ক্যাম্পেইনের আওতায় সারা দেশের ৭৫ লাখ মানুষকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই ক্যাম্পেইনের পর ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতার ওপর বুস্টার ডোজ দেয়া হবে। তাই এখনো যারা বুস্টার ডোজ নেয়নি তাদের বুস্টার ডোজ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক।
তিনি টিবিএসকে বলেন, 'ক্যাম্পেইনের পরও বুস্টার ডোজ দেয়া অব্যাহত থাকবে কিনা তা নির্ভর করবে ভ্যাকসিনের অ্যাভেইলেবিলিটির ওপর। কারণ আমাদের হাতে বুস্টারের জন্য যা ভ্যাকসিন আছে তা নিয়ে আমরা আগামী মঙ্গলবার মাঠে নামবো। বুস্টারের জন্য আমাদের হাতে বর্তমানে এক কোটির বেশি ফাইজার ভ্যাকসিন আছে। ক্যাম্পেইনে আমরা ৭৫ লাখ মানুষকে বুস্টার দিতে চাচ্ছি। এরপর বুস্টারের জন্য ভ্যাকসিন পাওয়ার ওপর নির্ভর করবে আমরা বুস্টার দিতে পারবো কিনা।'
দেশে ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু হয়। সে সময় ফাইজার, মর্ডানা ও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন বুস্টার ডোজ দেয়া হতো। তবে এখন সীমিত পরিসরে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন বুস্টার হিসেবে দেয়া হলেও মর্ডানার ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে না। দেশে এখন প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে সিনোভ্যাক ও সিনোফার্ম ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে।
ডা. শামসুল হক বলেন, 'এখন শুধু ফাইজার ভ্যাকসিন বুস্টার ডোজ হিসেবে দেয়া হচ্ছে। মর্ডানা ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন এখন নাই। অন্য ভ্যাকসিন আমাদের হাতে আছে তবে সেগুলো তো বুস্টারে ব্যবহার করা যাবেনা। কো-মর্বিড ও বয়স্ক যারা, তারা যদি এখনো বুস্টার ডোজ না নিয়ে থাকেন, তাহলে সংক্রমণ বাড়লে তাদের মৃত্যু ঝুঁকিও বাড়বে। তাই এখনো যারা বুস্টার ডোজ নেয়নি তাদের উচিত বুস্টার ডোজ নিয়ে নেয়া।'
১৯ জুলাইয়ের টিকাদান ক্যাম্পেইনটি সকাল ৯টা থেকে শুরু হবে; ১৮ বছর বা তার ঊর্ধ্বে যেসব ব্যক্তি কোভিড ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার চার মাস পার করেছেন, তারা বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন।
ক্যাম্পেইন চলাকালীন প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের নিয়মিত টিকাপ্রদান কর্মসূচীও চলবে।
এর আগে ৪ থেকে ১০ জুন, সপ্তাহব্যাপী বুস্টার ডোজ ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয়।
এদিকে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জেলার ৩ লাখ ৬৮ হাজার মানুষকে বুস্টার ডোজ দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগ।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'অতীতের অভিজ্ঞতা বলে, একদিনে অনেক মানুষকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা অনেক বেশি কার্যকর হয়। আমরা প্রতিটি ইউনিয়নকে টার্গেট করেছি। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে টিকাকেন্দ্র করা হয়েছে। যেখানে কমিউনিটি ক্লিনিক নেই, সেখানে ইপিআই কর্মসূচি পালনের স্থানগুলোকে টিকাকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে।'
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ১২ কোটি ৯৫ লাখ মানুষকে; একই সময়ে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ১১ কোটি ৯৮ লাখ জন।
এছাড়াও এখন পর্যন্ত বুস্টার পেয়েছেন ৩ কোটি ২৪ লাখ জন।