বাঁধ নির্মাণের দাবি তোলায় হামলার শিকার ২ স্বেচ্ছাসেবক, সাতক্ষীরায় ক্ষোভ
সাতক্ষীরা উপকূলে টেকসই বাঁধ নির্মাণে দাবি জানিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তার হামলার শিকার হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক শাহিন বিল্লাহ্ ও ইয়াছির আরাফাত।
হামলার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছেন সাতক্ষীরার স্বেচ্ছাসেবকরা। রোববার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন তারা।
সাতক্ষীরা জেলা সম্মিলিত সামাজিক সংগঠন জোটের আহ্বায়ক গাজী আসাদের সভাপতিত্বে ও মঈনুল আমিন মিঠুর পরিচালনায় মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দ্য এডিটরসের উপসম্পাদক হারুনুর রশিদ, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, ভালোবাসার মঞ্চের সভাপতি আকরামুল ইসলাম, সাতক্ষীরা স্টুডেন্টস সোসাইটির শাকিল হোসেন, ভিডিবি সাতক্ষীরার হোসেন আলী, আমরাবন্ধুর ফাহাদ হোসেন, তোহা খান ও সাকিব হোসেনসহ অনেকে।
বক্তাদের অভিযোগ, উপকূলে টেকসই ভেড়িবাঁধ হোক, জনপ্রতিনিধি ও পানি উন্নয়ন বোর্ড তা চায় না। তারা উপকূলের মানুষ বাণিজ্য হয়। উপকূলের ভাঙন কবলিত বাঁধে প্রতীকী লাশ হয়ে অবস্থান কর্মসূচী পালন করায় স্বেচ্ছাসেবক শাহিন বিল্লাহ্ ও ইয়াছির আরাফাতকে মারধর করা হয়েছে। এটি থেকেই প্রমাণ হয়, তারা বাঁধ নির্মাণ চান না।
মানববন্ধনে বক্তারা আরও জানান, ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় জেলার সকল স্বেচ্ছাসেবক এক হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী আলমগীর কবিরকে শাস্তির আওতায় আনার দাবি করেন তারা। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতরা নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে আবারও জেলার সকল স্বেচ্ছাসেবককে নিয়ে কঠোর কর্মসূচী দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।
এদিকে, একই দাবিতে সাতক্ষীরার তালা ডাকবাংলোর সামনে পৃথক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন আমরাবন্ধু সংগঠন, গ্রীনম্যান ও তালা ব্লাড ব্যাংকের স্বেচ্ছাসেবকরা।
উল্লেখ্য, শনিবার সকাল সাড়ে ৭টা ও বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নে ভেড়িবাঁধে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী স্বেচ্ছাসেবক শাহিন বিল্লাহ্ ও ইয়াছির আরাফাতের উপর হামলা করেন পদ্মপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী ইয়াছির আরাফাত। বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচী করার জন্য তাদের দায়ী করেন হামলাকারীরা।