বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যা মামলার বিচার দ্রুত সম্পন্ন করা হবে : আইনমন্ত্রী
সকল আইনি বাধ্যবাধকতা সম্পন্ন করে বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যা মামলার বিচার দ্রুত সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে আবরার হত্যা মামলার চার্জশিট প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়ায় তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “যখন এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘটে, তখনই বলেছিলাম তদন্ত শেষ হওয়ার পর, তদন্ত প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে জমা দেওয়ার পর দায়িত্ব হবে প্রসিকিউশন টিমের। আমি প্রসিকিউশন টিম রেডি রাখার কথা বলেছিলাম, যাতে প্রতিবেদন পৌঁছার পরই কার্যক্রম তারা শুরু করতে পারে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রসিকিশন টিম রেডি রেখেছি।”
আইনমন্ত্রী বলেন, “মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে প্রতিবেদন দাখিলের পর কিছু প্রক্রিয়া আছে। আসামিদের কেউ যদি পলাতক থাকে তাদের হাজির হওয়ার জন্য আদেশ দিতে হয়। সে যদি সেই সময়ে হাজির না হয়, তাকে যাতে পলাতক অবস্থায় বিচার করা যায়। সেজন্যও গেজেট নোটিফিকেশন করতে হয়, সেসব ফরমালিটিজগুলো যতদ্রুত সম্ভব সম্পন্ন করব।”
মন্ত্রী বলেন, এই দায়িত্ব আমি আগামী সোমবারের মধ্যে প্রসিকিউশন টিমকে গ্রহণ করতে বলব। তারা যেন এই ফরমালিটিগুলো যথাশীঘ্রই সম্পন্ন করে। আইনে বলা আছে, কিছু সময় দিতে হবে, সেই আইনি বাধ্যবাধকতা মেনে যতদ্রুত করা যায়, তা করা হবে।
আনিসুল হক জানান, দ্রুত বিচার আইনে এটাকে বিচার করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ বিষয়ে আবেদন করতে অনুরোধ জানাবেন তিনি।
“স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে এই আবেদন আসতে হয়। সেটা যখন আইন মন্ত্রণালয়ে আসবে, আমরা সেটা দ্রুত বিচার আদালতে বিচারের জন্য যে আইনি প্রক্রিয়া সেটা সম্পন্ন করব। আমরা এটা দ্রুততার সঙ্গে করার জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য পরিচালনা করব।”
তিনি বলেন, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে যদি বিচার করা হয়, বিচারের জন্য প্রথম সময় ৯০ দিন, তারপরের সময় ৩০ দিন। এই ১২০ দিনের মধ্যে বিচারকাজ শেষ করতে না পারলে, তৃতীয়বারের জন্য ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়। এই ১৩৫ দিনের মধ্যে বিচারকাজ সম্পন্ন করতে হয়।
পলাতকদের বিষয় মন্ত্রী বলেন, “তারা যদি ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়ে আত্মসমর্পণ না করে, তাহলে পলাতক দেখিয়ে বিচারের যে প্রক্রিয়া আছে সে অনুযায়ী বিচার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে একটি প্রক্রিয়া আছে, খবরের কাগজে বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে, তারপরও তারা না আসলে পলাতক দেখিয়ে বিচার হবে। সেক্ষেত্রে গেজেট নোটিফিকেশন করতে হবে।”
আনিসুল হক বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ও জনগণের চাহিদা অনুযায়ী এই হত্যার বিচার যথাশিগগিরই করা হবে। জনগণ চেয়েছে নুসরাত হত্যার বিচার দ্রুত করার জন্য, সেটাও করা হয়েছে। আবরার হত্যার বিচারও দ্রুত করতে হবে।”