ভারতীয় পেঁয়াজ আসছে হিলি বন্দর দিয়ে
রপ্তানির অনুমতি দেওয়ায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। তবে এই পেঁয়াজের এলসি খোলা হয়েছিল ভারত সরকারের রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্তের আগে।
ভারতের হিলি এক্সপোর্ট অ্যান্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সনজিৎ মজুমদার জানান, “ভারত সীমান্তে আটকে থাকা এই পেঁয়াজের এলসি আগেই খোলা ছিল। অবশেষে সরকার এগুলো বাংলাদেশে পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে।”
সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও শুক্রবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিট থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ-বোঝাই ভারতীয় ট্রাক বাংলাদেশে আসতে শুরু করে।
এ বিষয়ে হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী মোর্শেদুর রহমান ও নাজমুল হক জানান, চলতি বর্ষা মৌসুমে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ব্যাপক বন্যায় পেঁয়াজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ কারণে ভারতে পেঁয়াজের সংকট সৃষ্টি হলে দাম কয়েকগুণ বেড়ে যায়। অভ্যন্তরীণ মজুদ স্বাভাবিক রাখতে ও জনদুর্ভোগ ঠেকাতে কেন্দ্রীয় সরকার ২৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়।
কিন্তু সীমান্তের ওপারে প্রায় ৬০টি ট্রাকে দেড় হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আটকে থাকায় বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ভারতের ব্যবসায়ীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। অবশেষে পাঁচদিন পর আগের এলসিকৃত পেঁয়াজ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়।
ব্যবসায়ীরা আরও জানান, কয়েকদিন ধরে পেঁয়াজের বস্তা ট্রাকে বাঁধা অবস্থায় ছিল। ফলে অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
এদিকে, শুক্রবার আমদানিকৃত পেঁয়াজ বন্দরের মোকামগুলোতে মানভেদে ৮০-৯০ টাকা কেজিতে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। তবে খুচরা বাজারে দাম কমে তেমন প্রভাব পড়বে না বলে জানান তারা।
হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা নূর আমিন জানান, আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও দুদেশের ব্যবসায়ীদের অনুরোধে শুল্ক স্টেশনের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। কারণ পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমদানিকৃত পেঁয়াজের চালান দ্রুত খালাস করা হচ্ছে। যাতে ব্যবসায়ীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটি দ্রুত বাজারজাত করতে পারেন।