দেশি পেঁয়াজের কেজি ২৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে দেড়শ ছাড়িয়েছে
দুই সপ্তাহর ব্যবধানে রাজধানীতে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে প্রায় ২৫ টাকা পর্যন্ত। আজ (শুক্রবার) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, কল্যাণপুর, হাতিরপুল বাজার ঘুরে ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা যায়।
এক্ষেত্রে দেশি ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা দরে। সপ্তাহ দুয়েক আগে দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। তবে বর্তমানে দ্বিতীয় গ্রেডের (একটু নিম্ন মানের) দেশি পেঁয়াজ তুলনামূলক কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিবছর এ সময় দেশি পেঁয়াজের মজুত ফুরিয়ে আসে। এ কারণে দর বাড়ে। তাই চাহিদার যোগান দিতে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়।
শ্যামবাজার পেঁয়াজের পাইকারি বিক্রেতা মোহাম্মদ আবদুল মাজেদ জানান, দেশি দ্বিতীয় গ্রেডের পেঁয়াজ পাইকারি ১২০ থেকে ১২৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গত দুই সপ্তাহে ব্যাবধানে এই মানের দেশি পেয়াজের দাম পাইকারিতে ২০ টাকা বেড়েছে। আর দেশি জাতের প্রথম গ্রেডের পেঁয়াজ বাজারে নেই বললেই চলে।
তিনি বলেন, "এই সময়ে দেশি পেয়াজের সংকট থাকায় দাম প্রতি বছরই বাড়ে। আমদানি করায় এখন বাজারে পেঁয়াজের সংকট নেই। ভারত থেকে আমদানি করা পেয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯২ টাকায়। আর পাকিস্তানি পেয়াজ ৯০ থেকে ৯২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।"
তিনি আরও বলেন, "পাইকারিতে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম তেমন বাড়েনি। আর কয়েক দিন পর মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসা শুরু হবে। তখন বাজার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে। তবে এর আগ পর্যন্ত আমদানি করতে হবে।"
কল্যাণপুর নতুন বাজার এলাকার বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, "বাছাই করা ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি ১৩০ টাকা আর ছোট আকারের ভারতীয় পেঁয়াজ ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।"
এদিকে বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় এ পণ্যটির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক রয়েছে। নির্দিষ্ট একটি সময়ের জন্য এই শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে লেখা এক চিঠিতে এ সুপারিশ করা হয়।
এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে পেঁয়াজ আমদানিতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করে এনবিআর। চলতি নভেম্বর মাস পর্যন্ত এ সুবিধা বহাল থাকবে।
সবজির দাম কমেছে
এদিকে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে প্রায় প্রতিটি সবজিতে কেজি প্রতি ১০-১৫ টাকা দাম কমেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঢ্যাঁড়শ, পটোল, ঝিঙে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
ছোট আকারের ফুলকপি ৪০ টাকা, লাউ প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০-১৪০ টাকা, যা দুই সপ্তাহ আগেও ২৫০ টাকা।
কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা মোহম্মদ নজরুল বলেন, দুই সপ্তাহ আগে বেগুন ছিল ৮০ টাকা, এখন ৬০ টাকা। তবে শীতের আগাম সবজি আসলেও সেই তুলনায় এখনও সবজির দাম কমেনি বললেই চলে।