মহিষ চরাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মহিষ চরাতে গিয়ে বিদ্যুতের পড়ে থাকা তারে জড়িয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় পাশে তাদের স্কুল পড়ুয়া ছেলে থাকলেও সে অল্পের জন্যে প্রাণে বেঁচে গেছে। রোববার সকাল আটটার দিকে উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের অভিরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন অভিরামপুর গ্রামের মো. ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে মো. শাজাহান মিয়া (৩৫) ও শাজাহানের স্ত্রী এলোনা বেগম (৩০)।
নিহত শাজাহান গৃহস্থলীর পাশাপাশি বাঁশতৈল বাজারে চায়ের দোকান করতেন। অনিক (১৪) ও জান্নাত (৬) নামে তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় অভিরামপুর গ্রামসহ আশপাশের এলাকায় শোকের ছাড়া নেমে এসেছে।
পরিবারিক ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে শাজাহান মিয়া প্রতিদিনের ন্যায় মহিষ চরাতে বাড়ির পাশে মাঠে যান। এক পর্যায়ে মাঠের ওপর পড়ে থাকা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (ওয়াপদার) বিদ্যুতের মেইন লাইনের তারে শাজাহান জড়িয়ে পড়েন। তাকে বাঁচাতে তার স্ত্রী এগিয়ে গেলে তিনিও বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে পড়েন।
এ সময় পাশে থাকা তাদের ছেলে অনিক এগিয়ে গিয়ে আহত হলেও সে প্রাণে বেঁচে যান। তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গিয়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনকে উদ্ধার করেন। পরে বাঁশতৈল ক্লিনিকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দু'জনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
অভিরামপুর গ্রামের বাসিন্দা অমিত রাজ অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তাদের এলাকায় বাঁশের খুটির সাহায্যে ওয়াপদার বিদ্যুতের মেইন লাইন টানা হয়েছে। যা খুবই বিপদজনক। মাঝে মধ্যেই বাঁশের খুটি ভেঙে বিদ্যুতের তার মাঠে পড়ে থাকে আর সেগুলোতে জড়িয়ে মানুষ, গবাদিপশুসহ বন্যপ্রাণী মারা যায়।
মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজাহারুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের খাম-খেয়ালীপনায় প্রতিনিয়তই এমন দুর্ঘটনা ঘটছে যা খুবই দুঃখজনক।
এ ব্যাপারে বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আইনী প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।