মা-বোনকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর কিশোরের আত্মহত্যা, এসআই বরখাস্ত
মা এবং বোনকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ার পর চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় মারুফ আলম (১৭) নামে এক কিশোর আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে আগ্রাবাদের বাদামতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ডবলমুরিং থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হেলাল খানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-কমিশনার ফারুকুল হক।
মারুফ আলম আগ্রাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র। সে ওই এলাকার মো. দিদারুল আলমের ছেলে।
স্থানীয়রা এবং পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি মারুফ আলমের একটি বাইসাইকেল চুরি হয়। এরপর থেকে মারুফ এলাকায় নতুন কাউকে দেখলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। বৃহস্পতিবার রাতেও অপরিচিত এক ব্যক্তিকে দেখে মারুফ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। এক পর্যায়ে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে জানতে পারে ওই ব্যক্তি পুলিশের সোর্স।
এক পর্যায়ে সোর্সের সঙ্গে থাকা সাদা পোশাকধারী পুলিশ সদস্যরা মারুফকে গ্রেফতারের চেষ্টা করে। কিন্তু মারুফ পালিয়ে যায়। এরপর তার বাসায় গিয়ে ডবলমুরিং থানার এসআই হেলাল খানের নেতৃত্বে মারুফের মা ও বোনকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। বিষয়টি জানতে পেরে বাসায় ফিরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে মারুফ আলম।
এদিকে মারুফের মৃত্যুর পর পুলিশ তার মা এবং বোনকে বাসায় নিয়ে যায়। তখন এলাকাবাসী পুুলিশকে অবরুদ্ধ করে। পরে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিক ক্লোজড করা হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এদিকে ঘটনা তদন্তে সিএমপির ডবলমুরিং জোনের সহকারী কমিশনার শ্রীমা চাকমাকে প্রধান করে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সিএমপি। শুক্রবার বিকেল ৫টার মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা শ্রীমা চাকমা বলেন, রাতে মারুফ আলম নামে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত চলছে। এর বেশি কিছু এখন বলা যাচ্ছে না।