রংপুরে শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ গ্রেপ্তার
রংপুরে দশম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ডিবি পুলিশের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বুধবার রাতে এএসআই রায়হানুল ইসলাম রাজু নামে ওই পুলিশ সদস্যকে নগরীর পশুরাম এলাকার মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্স থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন পিবিআই এর পুলিশ সুপার এস এম জাকির হোসেন।
পিবিআই জানিয়েছে , এএসআই রায়হানের নেতৃত্বে নগরীর হারাগাছ থানার ক্যাদারের পুল এলাকায় একটি বাড়িতে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ৫-৬ জন যুবক। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী বুধবার রাতে ২২ ধারায় জবানবন্দি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দিয়েছেন।
জবানবন্দিতে ওই ছাত্রী এএসআই রায়হানুল ইসলামের নামসহ ৫-৬ জনের নাম প্রকাশ করেন। এর আগে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া লালমনিরহাটের ২ জন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয় আদালতে। মামলার প্রধান আসামি রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের এএসআই রায়হানুল ইসলাম ওরফে রাজুকে ছাত্রীর ২২ ধারায় জবানবন্দিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পিবিআই এর পুলিশ সুপার এস,এম জাকির হোসেন জানিয়েছেন, রংপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নির্যাতিতা ওই ছাত্রীকে কড়া নিরাপত্তা পুলিশি পাহারায় রাতে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের আদালতে হাজির হয়ে প্রায় ৩ ঘন্টা জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে এএসআই এর নাম আসায় তাকে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গ্রেপ্তার অপর দুই আসামি বাবুল হোসেন ও আবুল কালাম আজাদ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। গত সোমবার ছাত্রীর বাবা আয়নাল আলী বাদী হয়ে হারাগাছ থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন সন্ধ্যায়। এ ঘটনায় মামলার অভিযুক্ত আসামি সুমাইয়া পারভীন মেঘলা ও সম্পা বেগমকে ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পরে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হলে রংপুরের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আরিফা ইয়াসমিন মুক্তা তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তাদের স্বীকারোক্তি নিয়ে এই মামলায় প্রধান আসামিসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।