রাজশাহীতে ত্রাণের দাবিতে কয়েকশ' নারী-পুরুষের বিক্ষোভ
রাজশাহীতে সরকারি ত্রাণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন কয়েক'শ নারী-পুরুষ। তাদের অধিকাংশই দিনমজুর ও শ্রমিক। রোববার দুপুরের দিকে পবা উপজেলার মুশরইল নতুন পাড়া এলাকায় তারা বিক্ষোভ করেন।
বিক্ষোভকারীরা জানান, সরকারি নির্ধারিত মূল্যে ১০ টাকা কেজি চাল কিংবা সরকারি কোনো ত্রাণ তারা এখনো পাননি। তাই না খেয়ে দিন পার করতে হচ্ছে তাদের।
স্থানীয় এক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, এই এলাকা পারিলা ইউনিয়নের মধ্যে। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাইফুল বারি ভুলু এলাকায় ত্রাণ বিতরণের কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যের কাছে ত্রাণের দাবিতে এলাকাবাসী গেলে তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
আরেক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, এই এলাকার মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে রয়েছেন।বিশেষ করে যারা দিন এনে দিন খান- তারা পড়েছেন সবচেয়ে বেশি বিপাকে। সরকারি সহযোগিতা না পেলে তারা না খেয়ে মারা যাবেন।
এদিকে, বিক্ষোভের খবর পেয়ে রাজশাহী নগরের চন্দ্রিমা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এ সময় পুলিশ মাইকিং করে এলাকাবাসীকে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার অনুরোধ জানায় এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে।
প্রায় এক ঘণ্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় বলে জানিয়েছেন চন্দ্রিমা থানার ওসি সিরাজুম মনির।
তিনি বলেন, সরকারি ত্রাণের দাবিতে এলাকাবাসী এই বিক্ষোভ করেছেন। একজোট হয়ে বিক্ষোভের সময় তারা স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করেন। পুলিশ গিয়ে তাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য মাইকিং করে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
পারিলা ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল বারি ভুলু বলেন, এই গ্রামের ৬০০ জনের তালিকা করা হয়েছে। এরমধ্যে ৯০ জনকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। বাকিদের ত্রাণ দেওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে তালিকা পাঠানো হয়েছে। দ্রুত তাদের ত্রাণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
পবার ইউএনও শাহাদত হোসেন বলেন, আমরা বিষয়টি খোঁজ নিয়েছি। বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করা হয়েছে, আগামী দুইদিনের মধ্যে বাড়ি বাড়ি ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হবে।