রিফাত হত্যাকাণ্ড : ৮ আসামির মালামাল ক্রোকের নির্দেশ
বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার পলাতক আট আসামির মালামাল বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী এ আদেশ দেন।
এছাড়াও এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্তদের নিয়ে দাখিল করা অভিযোগপত্রের প্রধান অভিযুক্ত রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজী ও ৪ নম্বর অভিযুক্ত মোঃ রেজওয়ান আলী খান ওরফে টিকটক হৃদয়ের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
একই সাথে এ মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক তিন আসামির জামিন আবেদন শিশু আদালতে পাঠানো হয়েছে।
যেসব আসামির মালামাল বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন, প্রাপ্তবয়স্ক তিন নম্বর আসামি মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, ছয় নম্বর আসামি মো. মুসা, অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই নম্বর আসামি রাকিবুল হাসান রিফাত হাওলাদার, তিন নম্বর আসামি আবু আব্দুল্লাহ রায়হান, ছয় নম্বর আসামি মো. নাইম, নয় নম্বর আসামি মো. রাকিবুল হাসান নিয়ামত, ১০ নম্বর আসামি মো. সাইয়েদ মারুফ বিল্লাহ ওরফে মহিব্বুলাহ, ১২ নম্বর আসামি প্রিন্স মোল্লা।
এ বিষয়ে বাদীপক্ষের মনোনীত আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক কিসলু বলেন, আজ বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বরগুনা জেলা কারাগারে থাকা সাত আসামিকে হাজির করে পুলিশ।
এছাড়াও মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পর জামিনে থাকা আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি ও আরিয়ান হসেন শ্রাবণও আদালতে হাজির হন।
এ মামলায় অপ্রাপ্তবয়স্ক ছয় আসামি যশোর শিশু কিশোর সংশোধনাগারে থাকায় তাদের আদালতে হাজির করা হয়নি।
আগামী ১৬ অক্টোবর এ মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের মূল ফটকের সামনের রাস্তায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফ নামের এক তরুণকে। এ সময় বরগুনা সরকারি কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্রী আয়েশা সিদ্দিকা তাঁর স্বামীকে রক্ষার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালান। কিন্তু সন্ত্রাসীরা তাঁকে (রিফাত) উপর্যুপরি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। বেলা তিনটার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফাতের মৃত্যু হয়। জনবহুল এলাকায় এমন নৃশংস হামলার ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভের ঝড় ওঠে।
আলোচিত এ হত্যা মামলায় এপর্যন্ত মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ মামলার প্রধান আসামী সাব্বির আহমেদ ওরফে নয়ন বন্ড গত ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়।