রিফাত হত্যায় অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির রায় আজ
বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির রায় ঘোষণা করা হবে আজ।
জেলা শিশু আদালতের বিচারক মোঃ হাফিজুর রহমানের এ রায় ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
আলোচিত এই রায়কে ঘিরে জেলা ও উপজেলা শহরসহ, আদালত এলাকায় নিরাপত্তাব্যবস্থা ব্যাপক জোরদার করা হয়েছে।
কারাগারে থাকা অপ্রাপ্ত বয়স্ক ৬ আসামিকে আদালতে হাজির করেছে পুলিশ। সকাল সাড়ে নয়টায় সময় কড়া প্রহরার মধ্য দিয়ে প্রিজন ভ্যানে করে আসামিদের আদালতে নিয়ে আসা হয়। এর আগে বিভিন্ন সময়ে স্বজনদের সঙ্গে আদালতে হাজির হয়েছেন এ মামলায় জামিনে থাকা ৮ অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি।
আদালতের অনুমতি নিয়ে আর কিছুক্ষণ পরেই আসামিদের জেলা শিশু আদালতের কাঠগড়ায় হাজির করা হবে। এরপরই মামলার রায় পড়ার শুরু হবে বলে জানিয়েছেন আদালতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা।
বরগুনা শিশু আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, 'রিফাতের রায়ের দিকে গোটা দেশের মানুষ তাকিয়ে আছে। রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করতে সমর্থ হয়েছে। প্রত্যেক আসামির সর্বোচ্চ সাজা হবে বলে আমরা আশাবাদী।'
রায়কে ঘিরে মঙ্গলবার রাত থেকে বরগুনার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সজাগ দৃষ্টি রাখছে পুলিশ। এছাড়া র্যাব সদস্যদের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশও টহল দিচ্ছে বরগুনায়।
রায়কে ঘিরে যেকোনও ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে জানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়াটার্স) মহরম আলী বলেন, 'রায়কে ঘিরে বরগুনায় আমরা ব্যাপক নিরাপত্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। জেলাজুড়ে সজাগ দৃষ্টি রাখছে পুলিশ সদস্যরা। তিনি আরো বলেন, 'বিশেষ করে আদালত প্রাঙ্গণে থাকবে আমাদের কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী। সরকারি গাড়ি ছাড়া কোন যানবাহন আদালত প্রাঙ্গণে ঢুকতে পারবে না।'
গত ১৪ অক্টোবর এ মামলার দুই পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক মোঃ হাফিজুর রহমান রায়ের জন্যে আজ মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন।
গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত হত্যাকণ্ড ঘটে। ওই বছর ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দু'ভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত ৮ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনার শিশু আদালত। এরপর ১৩ জানুয়ারি থেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন আদালত। মোট ৭৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে এ মামলায়।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির রায় ঘোষণা করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ আছাদুজ্জামান। রায়ে নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জনের ফাঁসির আদেশ দেন। আর বাকি চারজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।