রূপপুর বালিশ-কাণ্ডের তিন মামলার তদন্ত ৬ মাসে সম্পন্নের নির্দেশ
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে আলোচিত বালিশ-কাণ্ড দুর্নীতির ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তিন মামলার তদন্ত ৬ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে এসব মামলায় আসামি ওই প্রকল্পের উপসহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের জামিন আবেদনের শুনানি ৬ মাসের জন্য মুলতবি রেখেছেন আদালত।
আদালত বলেছেন, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর শফিকুল ইসলামের জামিনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সোমবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আসামির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক শুনানি করেন।
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে আবাসিক ভবনে (গ্রিন সিটি) আসবাবপত্র সরবরাহে অস্বাভাবিক দাম ধরে দুর্নীতি ও কেনাকাটায় অনিয়ম করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সেখানে একটি বালিশের পেছনে ৬ হাজার ৭১৭ টাকা ব্যয় দেখানোর খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়া এ ঘটনা 'বালিশ দুর্নীতি' হিসেবে পরিচয় পেয়েছে।
এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গত ১৩ ডিসেম্বর ১৩ জনের বিরুদ্ধে ৩১ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাতের দায়ে ৪টি মামলা করে। এরমধ্যে তিনটি মামলার আসামি প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম।