রোজিনার মুক্তির দাবিতে সাংবাদিক সংগঠনগুলোর আন্দোলন
প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে কয়েক ঘণ্টা আটকে রেখে হেনস্তা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলন করছে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন।
বুধবার (১৯ মে) সকালে প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিকরা জড়ো হন। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম; ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন; রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা; বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশন, ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট, বাংলাদেশ অনলাইন সাংবাদিক পরিষদের সংবাদকর্মীরা মানববন্ধনের আয়োজন করেন।
তারা অবিল্লম্বে রোজিনা ইসলামের মুক্তির দাবি করেন।
অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিও জানান তারা।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের অর্থ সম্পাদক মাসুদুল হক বলেন, "রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। যার ফলে তিনি আজ কারাগারে। আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তি চাই। যারা অন্যায় ভাবে তাকে হেনস্তা করেছে তাদের আমরা শাস্তির দাবি জানাই। এছাড়া যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে সেটিতে আমরা আশ্বস্ত নই। আমরা চাই অন্য মন্ত্রণালয়ের নিরপেক্ষ অফিসার দ্বারা তদন্ত কমিটি গঠন করা হোক।"
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, "আমাদের বোন, সহকর্মী রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি চাই। আমরা আশা করব আগামী বৃহস্পতিবার আদালত যে জামিনের শুনানি করবে, সেই শুনানিতে আমাদের বোন মুক্ত হবে। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে, নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন আগামীতে আলোচনার ভিত্তিতে আমরা কি করবো, আপনারা কি করবেন সম্মিলিতভাবে সেই নির্দেশনা দিব। সে পর্যন্ত আপনাদের অপেক্ষা করতে বলছি।"
গত সোমবার অনুমতি ছাড়া দাপ্তরিক নথিপত্রের ছবি তোলার অভিযোগে রোজিনা ইসলামকে কয়েক ঘণ্টা যাবত সচিবালয়ে আটকে রাখা হয়।
রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪১১ ধারায় এবং অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের ৩ ও ৫ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
অনুসন্ধানী সাংবাদিক রোজিনা সরকারি দুর্নীতি নিয়ে করা প্রতিবেদনের জন্য পরিচিত। সাম্প্রতিক সময়ে স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি উন্মোচনকারী বেশ কিছু প্রতিবেদন করেছেন তিনি।