লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় অপহৃত নারী-শিশুসহ ভোলার ১১ যাত্রী উদ্ধার
লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীহাট সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে অপহৃত নারী শিশুসহ ভোলার ১১ যাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার সকালে মেঘনা নদীর সাহেবের চর এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। অপহৃত সবাই একই পরিবারের সদস্য এবং ভোলা সদর উপজেলার চর কাছিয়া ও ধনিয়া এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় সাত অপহরণকারীর বিরুদ্ধে নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে বৃস্পতিবার রাতে ট্রলার যোগে ভোলা যাওয়ার পথে তাদেরকে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীররহাট ঘাটের সাত চিহ্নিত সন্ত্রাসী অপহরণ করে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় নৌ-পুলিশ অপহৃতদের উদ্ধার করেছে।
পুলিশ ও অপহৃতদের সূত্রে জানা যায়, ভোলার বাসিন্দা রুহুল আমিন সপরিবারে ঢাকায় বসবাস করেন। তার বাবার মৃত্যুর সংবাদে ঢাকা থেকে লক্ষ্মীপুর হয়ে ভোলা যাওয়া উদ্দেশ্যে তারা মজুচৌধুরীররহাটে আসেন। কিন্ত ঘাটে কোনো নৌকা না পেয়ে ভোলায় যোগাযোগ করে ওখান থেকে একটি ট্রলার মজুচৌধুরীররহাটে নিয়ে আসেন।
পরে ওই ট্রলার যোগে ভোলা যাওয়ার পথে মাঝ নদীতে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা তাদেরকে আটক করে মারধর করে। এসময় ভোলা থেকে ফোন করে ট্রলার নিয়ে আসার অপরাধে তাদের মুক্তিপণ হিসেবে ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে চাপ দেয়। ভুক্তভোগীরা মুক্তিপণের ১০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধ করে। বাকী ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের সঙ্গে থাকা ছোট শিশু লামিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে নদীতে নিক্ষেপ করে।
খবর পেয়ে টহলরত নৌ-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে। অপহৃত রুহুল আমিন স্থানীয়দের সহযোগিতায় চার অপহরণকারীকে শনাক্ত করে মোট সাতজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে মজুচৌধুরীররহাট নৌ-পুলিশের ইনচার্জ এসআই অচিন্ত কুমার দে জানান, টহলরত অবস্থায় খবর পেয়ে অপহৃতদের উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণকারীদের আটক করা সম্ভব হয়নি। ভিকটিমদের অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, অপহরণকারী ৭জনের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।