শিমুলিয়াঘাটে ঈদকে কেন্দ্র করে ঘরমুখী মানুষের ঢল
ঈদকে কেন্দ্র করে আজও দেশের দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার ঘরমুখো মানুষ ভিড় করছে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়াঘাটে। সকাল হতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন যানবাহনে চড়ে যাত্রীরা ঘাটে উপস্থিত হয়ে ফেরি ও লঞ্চে পদ্মা পারি দিচ্ছে। ফেরিঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ সারি আর লঞ্চঘাটে যাত্রীদের ভিড় রয়েছে।
বিশেষ করে লঞ্চঘাটে সকাল থেকেই যাত্রীদের গাদাগাদি। লঞ্চে মানা হচ্ছে না নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি। অর্ধেক যাত্রী ধারণের কথা থাকলেও আজও অধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চলাচল করছে। ঈদ যাত্রায় যাত্রীদের হুড়োহুড়িতে লঞ্চঘাটে উপেক্ষিত থাকছে স্বাস্থ্যবিধি সামাজিক দূরত্ব।
এদিকে পদ্মার তীব্রস্রোত ও গণপরিবহন ও ব্যাক্তিগত গাড়ির চাপ বাড়ায় ফেরিতে যানবাহন পারাপারে বেগ পেতে হচ্ছে। ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় অবস্থান করছে ৫ শতাধিক ব্যাক্তিগত গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাক। এছাড়া ঘাটের অভিমুুখে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পারাপারের অপেক্ষায় শতশত পণ্যবাহী ট্রাক।
ঘাট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে নৌরুটে বর্তমানে ১৩টি ফেরি ও ৮৩টি লঞ্চ সচল রয়েছে।
এ বিষয়ে বিআইডাব্লিউটিস শিমুলিয়াঘাটের সহকারি উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, নৌরুটে বর্তমানে ১৩টি ফেরি সচল রয়েছে। ঘাট এলাকায় পারাপারের জন্য যাত্রী ও পণ্যবাহী মিলিয়ে ৫ শতাধিক যানবাহন রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল যানবাহন পারাপার করা হবে।
বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাটের মেরিন কর্মকর্তা আহমেদ আলী জানান, নদীতে পানি বৃদ্ধি ও তীব্র স্রোতের কারণে শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার ঘাটে যেতে ফেরি গুলোর দ্বিগুন সময় লাগছে। প্রতিটি ফেরিকে স্রোতের বিপরীতে ও নদীতে ৩-৪ কিলোমিটার অধিক পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে।