৬ দিন পর লঞ্চ চলাচল শুরু ঢাকা-বরিশাল রুটে
টানা ৬ দিন বন্ধ থাকার পর ঢাকা-বরিশাল রুটে চালু হয়েছে লঞ্চ চলাচল। শুক্রবার (২৬ জুলাই) বরিশালে কারফিউ শুরু হওয়ার আগে রাত পৌনে ৯টায় যাত্রী নিয়ে একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, 'কোটাসংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে অস্থিরতা শুরু হলে– সড়কের পাশাপাশি নৌপথেও পরিবহন পরিচালনা ঝূঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। এরমধ্যে গত শুক্রবার রাতে কারফিউ ঘোষণা হলে, লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়। তবে শনিবার (২৬ জুলাই) রাত ৯টায় করিফিউ শুরু হলেও – তার আগেই এমভি এ্যাডভেঞ্জার-৯ নামের লঞ্চটি যাত্রী নিয়ে পন্টুন ত্যাগ করে। আরো একটি ভায়া লঞ্চ বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়েছে।'
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার (২৭ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। তবে এই সময়ে মেট্রোপলিটন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল জোরদার থাকবে।
ছাড়ার পর এমভি এ্যাডভেঞ্জার-৯ লঞ্চের সুপারভাইজার মাসুদ মুঠোফোনে বলেন, 'বরিশাল থেকে লঞ্চ ছাড়া হয়েছে। প্রথমে শঙ্কায় ছিলাম যাত্রী আসা নিয়ে। যেহেতু দিনে বরিশালে কারফিউ শিথিল ছিল– এজন্য কিছু যাত্রী এসেছে। নির্ধারিত সময়েই বরিশাল নদীবন্দর ত্যাগ করে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছি। আশা করছি, ঢাকায় কারফিউ শুরু হওয়ার আগেই আমরা যাত্রীদের নিরাপদে পৌঁছে দিতে পারব।'
লঞ্চযাত্রী রেহানা বেগম বলেন, 'যাত্রীতে লঞ্চটি ভরে গেছে। বাসে গেলে সঠিক সময়ে নাও পৌঁছানো যেতে পারে; এজন্য যখন জানতে পেরেছি লঞ্চ ছাড়বে, তখনই প্রস্তুতি নিয়ে এসে ডেকে জায়গা নিয়েছি।'
ইকবাল হোসেন নামে আরেক যাত্রী বলেন, আগে থেকেই যোগাযোগ করে কেবিন ঠিক করে রেখেছিলাম। নির্ধারিত ভাড়াই নিয়েছে। কারফিউ শিথিলের মধ্যে প্রথম ট্রিপে যাত্রী উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হয়েছে।
বন্দরের নিরাপত্তায় নৌপুলিশ দায়িত্ব পালন করছে বলে জানান বরিশাল সদর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল।