সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারের আগে অনুমোদনের বিধান কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/07/31/supreme_court.jpeg)
কোন সরকারি কর্মচারীকে ফৌজদারি মামলায় গ্রেপ্তারের আগে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নেয়া সংক্রান্ত সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর ৪১ (১) ধারা কেন অবৈধ ও সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (২১ অক্টোবর) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার মো. দিলীরুজ্জামানের বেঞ্চ এ রুল জারি করে।
রুলে ৪১ (১) ধারাকে কেন বেআইনি ও বাতিল এবং সংবিধানের ২৬ (১) (২), ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জনপ্রশাসন ও আইন সচিব এবং জাতীয় সংসদের স্পিকারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট আবেদনটি করেন আইনজীবী সরোয়ার আহাদ চৌধুরী, একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া ও মাহবুবুল ইসলাম।
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রিপন বাড়ৈ ও সঞ্জয় মণ্ডল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।
২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর সরকারি চাকরি আইনের গেজেট জারি হয়। এরপর ২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এক গেজেটে বলা হয় যে ১ অক্টোবর থেকে এ আইন কার্যকর হবে।
আইনের ৪১ (১) ধারায় বলা হয়েছে, "কোন সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সহিত সম্পর্কিত অভিযোগে দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহীত হইবার পূর্বে, তাহাকে গ্রেপ্তার করিতে হইলে, সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি গ্রহণ করিতে হইবে।"
আদালতের রায়ের পর মনজিল মোরসেদ জানান, ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইনের বিশেষ সুবিধার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৪ অক্টোবর জনস্বার্থে রিট করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, "একই ধরনের সুযোগ দিয়ে ২০১৩ সালে দুদক আইনের ৩২ (ক) ধারা প্রণয়ন করা হয়। পরে জনস্বার্থে রিট করলে আদালত আইনটিকে বৈষম্যমূলক বলে বাতিল ঘোষণা করে। একই সুযোগ সরকারি কর্মচারীদের জন্য ২০১৮ সালের আইনের ৪১ (১) ধারা আদালতের রায়ের পরিপন্থী।"