সাগরে মিসাইল উৎক্ষেপণের মাধ্যমে শেষ হলো নৌবাহিনীর মহড়া
বঙ্গোপসাগরে সফল মিসাইল উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বাৎসরিক সমুদ্র মহড়া ‘এক্সারসাইজ সেফ গার্ড’ শেষ হয়েছে বুধবার।
১৮ দিনের এ মহড়ায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ফ্রিগেট, করভেট, ওপিভি, মাইন সুইপার, পেট্রোল ক্রাফট, মিসাইল বোটসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জাহাজ এবং নৌবাহিনীর মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফট ও হেলিকপ্টার অংশগ্রহণ করে।
এছাড়া বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, সেনা ও বিমানবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট মেরিটাইম সংস্থাসমূহ এ মহড়ায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চার ধাপে অনুষ্ঠিত এ মহড়ার ছিলো নৌ বহরের বিভিন্ন কলাকৌশল অনুশীলন, সমুদ্র এলাকায় পর্যবেক্ষণ, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান, লজিস্টিক অপারেশন, ল্যান্ডিং অপারেশন, উপকূলীয় এলাকায় অবস্থিত নৌ স্থাপনাসমূহের প্রতিরক্ষা মহড়া।
মহড়ার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল সমুদ্র এলাকায় দেশের সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণ, সমুদ্র সম্পদের হেফাজত, সমুদ্র পথের নিরাপত্তা বিধানসহ চোরাচালানরোধ, জলদস্যুতা দমন, উপকূলীয় এলাকায় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং সমুদ্র এলাকায় প্রহরা নিশ্চিতকরণ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, চূড়ান্ত দিনের মহড়ায় ছিলো বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ হতে মিসাইল উৎক্ষেপণ, শোল্ডার লাঞ্চড স্যাম ফায়ারিং, এ্যান্টিএয়ার র্যাপিড ওপেন ফায়ার, আরডিসি ফায়ার, ডিবিএসএস বা নৌকমান্ডো মহড়া ও নৌ যুদ্ধের বিভিন্ন কলাকৌশল।
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান প্রধান অতিথি হিসেবে বানৌজা বঙ্গবন্ধু থেকে সমাপনী দিবসের মহড়াসমূহ দেখেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী।
নৌ মহড়ার সমাপনী দিনে বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান, নৌ সদর দপ্তরের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারগণ এবং উচ্চ পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চল, কমান্ডার বিএন ফ্লিটসহ পদস্থ নৌ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।