সাতক্ষীরায় বেআইনীভাবে চলছে অতিথি পাখি শিকার
সাতক্ষীরার সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় বেআইনীভাবে চলছে অতিথি পাখি শিকার। অতিথি পাখির অবাধ বিচরণে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে শিকারীরা। বিভিন্ন রকমের ফাঁদ পেতে, এমনকি বন্দুক ও এয়ারগান দিয়েও অবাধে পাখি শিকার করে চলেছে শিকারীরা।
সাতক্ষীরার সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের গোয়ালপোতা বিল, খড়িয়াডাঙা বিল, ধুলিহর এলাকার আছানডাঙা বিল, কোমরপুর বিল, এল্লাচর, বকচরাসহ সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নিচ্ছে অতিথি পাখিরা। দল বেঁধে আসছে সাদা বক, বালহাঁস, পানকৌড়ী, (গলা লম্বা) সারস পাখিসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি।
চিংড়ি, পুঁটি মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছ খাওয়ার লোভেই অতিথি পাখিরা ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসে আসে খাল-বিলে। এই সুযোগে কিছু অসাধু শিকারী পাখি শিকার করছে।
ধূলিহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাবু জানান, সপ্তাহখানেক আগে যুগিপোতা গ্রামের বিলে রাতের আঁধারে অতিথি পাখি শিকার হচ্ছে এমন অভিযোগে দ্রুত ঘটনাস্থলে গেলে পাখি শিকারীরা পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকলকে পাখি শিকার বন্ধে আহ্বান জানানো হয়।
এমনই এক পাখি শিকারী ধূলিহর ইউনিয়নের বাসিন্দা বাবলুর রহমান। তিনি কোমরপুর বিলে নিয়মিত ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করেন। রোববার (৮ ডিসেম্বর) কোমরপুর বিলে পাখি শিকারে যায় সে। তবে খালি হাতে ফিরতে হয় তাকে। ফাঁদে ধরা পড়েনি একটি পাখিও।
কোথায় পাখি শিকারে গিয়েছিলেন এমন প্রশ্নে বাবলুর রহমান বলেন, কোমরপুর বিলে গিয়েছিলাম তবে আজ একটাও পাখি পাইনি।
এভাবেই কখনো প্রকাশ্যে আবার কখনো রাতের আঁধারে একশ্রেণির চোরা পাখি শিকারী পাখির অবাধ বিচরণে এখন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ। শুধু সাতক্ষীরা সদর নয় বিভিন্ন উপজেলাতেও রয়েছে এমন পাখি শিকারের অভিযোগ।
পাখি শিকারের এমন অভিযোগের বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন স্থানে অতিথি পাখি শিকারের অভিযোগ পেয়েছি। ইতিপূর্বে সকলকে অতিথি পাখি শিকার না করতে আহব্বান জানানো হয়েছিল। এরপরও যারা অতিথি পাখি শিকার করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, অতিথি পাখি শিকার করছে এমন সময় ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়রা যদি একটু তথ্য দিয়ে সহায়তা করে তবে তাৎক্ষনিক সেসব শিকারীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।