সারাদিনই তালাবদ্ধ থাকে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে ছয় মাস আগে দুটি ব্রেস্টফিডিং কর্নার চালু করে প্রশংসিত হয়েছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দুটি কর্নারই তালাবদ্ধ থাকে দিনভর।
তবে কোনো নারী তার শিশুকে দুগ্ধপান করাতে চাইলে তালা খুলে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
স্টেশন মাস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, ''টোকাই ও মাদকাসক্তদের উৎপাতে বন্ধ রাখতে হয় ব্রেস্ট ফিডিং কর্ণার। তবে কেউ ব্যবহার করতে চাইলে আমরা খুলে দিই।''
তবে নিয়ম অনুসারে প্রত্যেকটি বিশ্রামাগারে সার্বক্ষণিক একজন করে ওয়েটিং রুম বিয়ারার থাকার কথা। চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে তা আছেও। কিন্তু তারা সবসময় ওয়েটিং রুমে থাকেন না। প্রয়োজনের সময় খুঁজে পাওয়া যায় না তাদের।
স্টেশনের প্রথম শ্রেণির বিশ্রামাগারে অবস্থানরত ঢাকাগামী যাত্রী নুসরাত সুলতানা বলেন, ''এখানে একটি ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার দেখে খুব ভালো লেগেছে। আবার হতাশ হয়ে গেলাম, অনেক খোঁজাখুজি করেও তালা খোলার জন্য কাউকে পেলাম না।''
এ ছাড়া এই ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার দুটির পরিবেশও খুব উন্নত নয়।
গত বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটার দিকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে দ্বিতীয় শ্রেণির বিশ্রামাগারে গেলে দেখা যায়, কয়েকজন যাত্রী বসে আসে। ব্রেস্ট ফিডিং কর্নারের সামনে ফ্লোরে শুয়ে আছেন একজন ভ্রাম্যমাণ চা বিক্রেতা।
তালাবদ্ধ ব্রেস্ট ফিডিং কর্নারের চাবি কার কাছে থাকে জিজ্ঞেস করলে স্টেশন মাস্টারের কথা জানান এক কর্মকর্তা। পরে স্টেশন মাস্টারকে ডেকে আনেন ওই কর্মকর্তা।
এরপর স্টেশন মাস্টার মাহবুবুর রহমানকে নিয়ে প্রথম শ্রেণির বিশ্রামাগারে গিয়ে দেখা যায় সেখানকার ব্রেস্ট ফিডিং কর্নারটিও তালাবদ্ধ।
তালা খুলে ভেতরে গিয়ে দেখা গেল ভেতর দুটি কালো সোফা সেটের ওপর রাখা রেলওয়ে স্টাফদের ঘুমানোর জিনিসপত্র।
এ বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরীর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, যদি চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার তালাবদ্ধ থাকে এবং অন্যকাজে ব্যবহৃত হয়, তাহলে সেটি অন্যায়। কর্তৃপক্ষের উচিত, যে উদ্দেশ্যে এই কর্নার চালু করা হয়েছে, তার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক বোরহান উদ্দিন বলেন, ব্রেস্ট ফিডিং কর্নারে সেবা না পাওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। একজন দায়িত্বশীলের কাছে চাবি দেওয়া থাকে। কেউ চাইলে সেটি ব্যবহার করতে পারে।