সিনহা হত্যা: রিমান্ডপ্রাপ্ত এপিবিএনের তিন সদস্য র্যাব হেফাজতে
মেজর সিনহা হত্যা মামলায় রিমান্ডপ্রাপ্ত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা র্যাব।
শনিবার (২২আগস্ট) বেলা পৌনে ১২টার দিকে তাদের কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে বের করে র্যাব হেফাজতে নেয়া হয়।
এপিবিএনের এই তিন সদস্যকে গত ১৮ আগস্ট গ্রেপ্তারের পর আদালতে সোর্পদ করে ১০দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে ৭ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন বিচারপতি তামান্না ফারাহর আদালত।
কক্সবাজার জেলা কারাগারের সুপার মো. মোকাম্মেল হোসেন জানান, কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর একটি দল এপিবিএনের তিন সদস্যকে জিজ্ঞাবাসাদের জন্য তাদের হেফাজতে নিয়েছে। আদালতের আদেশে এই তিন সদস্যকে র্যাব নিয়ে যায়। তারা হলেন, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের উপ-পরিদর্শক শাহাজাহান, কনস্টেবল রাজিব ও আব্দুল্লাহ। এরা তিনজনই ৩১জুলাই রাতে শামলাপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে দায়িত্বরত ছিলেন।
এর আগে গত ১৮ আগস্ট অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলায় জড়িত থাকার সন্দেহে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) ৩জন সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে সোর্পদ করে র্যাব। ওই দিনই বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করে ১০দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে শুনানি শেষে ৭ দিনের রিমান্ড নেয়ার আদেশ দেন তামান্না ফারাহর আদালত।
প্রসঙ্গ, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো: রাশেদ। এ সময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। পরে রিসোর্ট থেকে শিপ্রাকে আটক করা হয়। দুজনই বর্তমানে জামিনে মুক্ত। ওই ঘটনায় ওসি প্রদীপসহ মামলায় অভিযুক্ত তিন আসামি র্যাব হেফাজতে রয়েছে। অন্য চার পুলিশ সদস্য এবং পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষী রিমান্ড শেষে এখন কারাগারে রয়েছে।
সর্বশেষ গত ২১ আগস্ট সিনহাকে গুলি করার ঘটনা প্রত্যক্ষভাবে সরেজমিন দেখতে এবং ঘটনার বিবরণ জানতে রিমান্ডে থাকা ওসি প্রদীপ, পরির্দশক লিয়াকত ও এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিততে নিয়ে শামলাপুরে যায় তদন্তকারী সংস্থা র্যাব।