২৪ কোটি ৫৪ লাখ ডোজ টিকা সংগ্রহের ব্যবস্থা হয়েছে: সংসদে জানালেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আজ বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে বলেছেন, সরকার ইতোমধ্যে সকল মানুষকে টিকা দেওয়ার উদ্যোগের অংশ হিসেবে ২৪ কোটি ৫৪ লক্ষ ৫২ হাজার ৭শ' ডোজ টিকা সংগ্রহের ব্যবস্থা করেছে। গত ৩০ আগস্ট পর্যন্ত এ পরিমাণ ডোজ সংগ্রহের হিসাব দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী এদিন একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের লিখিত প্রশ্নের জবাবে সংসদকে এ তথ্য জানান। এর আগে বিকেল ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী জানান, ২৪ কোটি ৫৪ লক্ষ ৫২ হাজার ৭শ' ডোজ টিকা সংগ্রহের ব্যবস্থার পাশাপাশি দেশে দেশে ৩০ আগস্ট ২০২১ পর্যন্ত মজুদ ভ্যাকসিনের পরিমাণ এক কোটি ১৮ লক্ষ ৯৬ হাজার ৩৪৩ ডোজ।
তিনি বলেন, 'বিশ্বজুড়ে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পরপরই সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা হিসেবে বিনামূল্যে টিকা প্রদানের বিষয়টিকে তাঁর সরকার অগ্রাধিকার প্রদান করে। এ লক্ষ্যে করোনা টিকা আবিষ্কার ও ব্যবহারের অনুমতি প্রাপ্তির পূর্ব থেকেই সরকার টিকা সংগ্রহ ও টিকা প্রদানের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের সব উৎপাদনকারী সংস্থার সঙ্গেই আমরা যোগাযোগ স্থাপন করেছি, এর মধ্যে কেবল ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে সাড়া পাই এবং অগ্রিম টাকা দিয়ে তিন কোটি ডোজ টিকা সংগ্রহের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করি। কিন্তু অন্যান্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান থেকে টিকা প্রাপ্তির কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে কেবল চীনের সিনোফার্ম এবং রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি থেকে সাড়া পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা টিকা সংগ্রহের নিমিত্তে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করি। এর মধ্যে সিনেফার্মের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের জন্য সমঝোতা চুক্তিও সই হয়েছে।'
প্রতি মাসে যাতে এক কোটি ডোজের বেশি টিকা পাওয়া যায় তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছ। সিনোফার্ম থেকে প্রদত্ত সিডিউল অনুযায়ী আগামী অক্টোবর মাস থেকে প্রতি মাসে ২ কোটি হিসাবে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৬ কোটি টিকা পাওয়া যাবে।
চলমান টিকা কার্যক্রম জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সব বিভাগীয় সদর, জেলা সদর ও উপজেলা সদরে অবস্থিত ৬৭৩টি টিকা কেন্দ্রের মাধ্যমে জনগণকে টিকা প্রদান করা হচ্ছে। টিকা কেন্দ্র ইউনিয়ন পর্যায়ে বিস্তৃত করা হয়েছে। টিকা প্রদানে প্রয়োজনীয় জনবলকেও ইতোমধ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।