৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে উদ্ধার হওয়া সেই চিতা বিড়াল লাউয়াছড়ায় অবমুক্ত
চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ থেকে একটি চিতা বিড়ালের বাচ্চা উদ্ধার করে মৌলভীবাজারে নিয়ে আসে বনবিভাগ।
দীর্ঘদিন লাউয়াছড়া রেসকিউ সেন্টারে রেখে সেবা যত্ন করে বড় করার পর অবশেষে এই চিতা বিড়ালকে শুক্রবার বিকেলে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা মির্জা মেহেদি সারোয়ার, লাউয়াছড়ার রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, লাউয়াছড়া জীববৈচিত্র্য রক্ষা আন্দোলের যুগ্ম আহ্ববায়ক শামছুল হক প্রমুখ।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, 'সুনামগঞ্জ থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার সময় সে বাচ্চা ছিল। আমরা রেসকিউ সেন্টারে রেখে প্রয়োজনীয় সেবা দিয়ে বড় করেছি। সে নিজে নিজে বেঁচে থাকার জন্য উপযোগী হয়ে গেছে। তাই বনে অবমুক্ত করা হয়েছে। রেসকিউ সেন্টারে ওকে নিয়মিত কোয়েল পাখি, মাছসহ বিভিন্ন খাবার দেওয়া হতো।'
বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সূত্রে খবর পাওয়া যায়, সুনামগঞ্জের জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে এক ব্যক্তি একটি চিতা বিড়ালের বাচ্চাকে খাঁচায় ৬-৭ দিন ধরে বন্দি করে রেখেছেন। ঠিকমতো খাবার না দেওয়ায় বাচ্চাটি অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।
বিষয়টি জেনে বন বিভাগের সহযোগিতায় এ বিভাগের লোকজনসহ স্থানীয় প্রাণীপ্রেমী সোহেল শ্যাম, তার দীর্ঘদিনের প্রাণীসেবার সঙ্গী ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার খোকন থৌনাউজসহ ৬ জন মিলে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার নিয়ে আসেন। সেই থেকে লাউয়াছড়ায় রেসকিউ সেন্টারে ছিল চিতা বিড়ালের বাচ্চাটি।