‘আমফান’ এর চাইতেও কি বিধ্বংসী হবে ‘ইয়াশ’?
'আমফান'-এর থেকেও কি ভয়ংকর হতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াশ'? আপাতত সেই উত্তরের সন্ধানে আছেন সবাই। তবে এ মুহূর্তে ভারতের কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আমফান অনেক বেশি বিধ্বংসী ছিল। ইয়াশের তীব্রতা এর চেয়ে অনেক কম থাকবে।
আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ইতিমধ্যে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। তা শক্তি বাড়িয়ে আগামী সোমবার ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিতে পারে। মঙ্গলবার দিনভর শক্তি সঞ্চয় করে সেটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে বুধবার সন্ধ্যার পর অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে উড়িষ্যা থেকে বাংলাদেশের মধ্যে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। তবে ঝড়টির পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি।
সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মঙ্গলবার (২৫ মে) পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইবে। কখনও কখন দমকা হাওয়ার বেগ ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটারে পৌঁছে যেতে পারে। বুধবার সকালের দিকে ঝড়ের তীব্রতা বেড়ে ঘণ্টায় ৬০-৭০ কিলোমিটার হতে পারে। কখনও কখনও তা ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটারের গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলতে পারে। সেদিন দুপুরের আগে ঝড়ো হাওয়ার বেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারে পৌঁছে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সময় আরও বাড়বে ঝড়ের গতিবেগ। সেই সময় ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝড়।
অন্যদিকে, গত বছর ২০ মে ঘণ্টায় ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার বেগে সুন্দরবনে আছড়ে পড়েছিল 'সুপার সাইক্লোন' আমফান। দমকা হাওয়ার বেগ ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটারে পৌঁছে গিয়েছিল। আলিপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা গণেশকুমার দাস বলেন, 'অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর ইয়াশ পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। আপাতত যা পূর্বাভাস, তাতে আমফানের তীব্রতার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারবে না ইয়াশ।'