‘মানুষের জীবন সর্বাগ্রে, বেঁচে থাকলে আবার সব কিছু গুছিয়ে নিতে পারবো’
মহামারি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞার ফলে মানুষের জীবন-জীবিকায় অসুবিধার বিষয়টি সামনে এনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষের জীবন সর্বাগ্রে। বেঁচে থাকলে আবার সব কিছু গুছিয়ে নিতে পারবো।
বাংলা নববর্ষ ১৪২৮ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, "গত সপ্তাহে দ্বিতীয় ঢেউ প্রবল আকার ধারণ করলে মানুষের চলাচলের উপর আমাদের কিছু কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হয়। আপনারা দেখেছেন, কোনভাবেই সংক্রমণ ঠেকানো যাচ্ছে না। জনস্থাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে তাই আমাদের আরও কিছু কঠোর ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে। আমি জানি এরফলে অনেকেরই জীবন-জীবিকায় অসুবিধা হবে। কিন্তু আমাদের সকলকেই মনে রাখতে হবে - মানুষের জীবন সর্বাগ্রে। বেঁচে থাকলে আবার সব কিছু গুছিয়ে নিতে পারবো।"
জাতির উদ্দেশে দেওয়া এই ভাষণের শুরুতেই সবাইকে বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে মুসলমানদের পবিত্র মাহে রমজানের মোবারকবাদ জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "অতীতের সকল জঞ্জাল-গ্লানি ধুয়ে-মুছে আমরা নিজেদের পরিশুদ্ধ করবো। দৃপ্ত পায়ে এগিয়ে যাবো সামনের দিকে। গড়বো আলোকোজ্জ্বল ভবিষ্যত- এই হোক এবারের নতুন বছরের শপথ।"
মহামারির কারণে দেশের মানুষের 'শঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই' জানিয়ে বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "সরকার সব সময় আপনাদের পাশে রয়েছে। দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানার পর আমি দরিদ্র-নিম্নবিত্ত মানুষদের সহায়তার জন্য কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছি। আমরা ইতোমধ্যে পল্লী অঞ্চলে কর্মসৃজনের জন্য ৮০৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা এবং পবিত্র রমজান ও আসছে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৬৭২ কোটিরও বেশি টাকা বরাদ্দ দিয়েছি। এর দ্বারা দেশের প্রায় ১ কোটি ২৪ লাখ ৪২ হাজার নিম্নবিত্ত পরিবার উপকৃত হবেন। গত বছর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর থেকে ভিজিএফ, টেস্ট রিলিফসহ বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।"