মন্দা কাটিয়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ভিড়
ঈদের প্রথম দুই দিন কক্সবাজারে পর্যটকের মন্দা থাকলেও শুক্রবার থেকে পর্যটকের আনাগোনা বাড়ছে।
পর্যটকদের উচ্ছ্বাসে মুখরিত হয়ে উঠেছে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত সহ পর্যটন স্পটগুলো।
পর্যটন সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্য মতে, ঈদের দিন থেকে প্রথম ৪ দিনে কক্সবাজারে ভ্রমণে এসেছেন আড়াই লাখের মতো পর্যটক। আর শুধু শুক্রবারই পর্যটকের সংখ্যা ছুঁয়েছে লাখের কাছাকাছি।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার জানান, শুক্রবার কাঙ্ক্ষিত সংখ্যক পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে এসেছেন।
কক্সবাজারের ৫ শতাধিক আবাসিক প্রতিষ্ঠানের ৯০ শতাংশ কক্ষ ভাড়া হয়েছে বলে জানান।
তিনি জানান, ঈদের প্রথম ২ দিন পর্যটকের উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম। তৃতীয় দিন থেকে তা বাড়তে থাকে। শুক্রবার সর্বোচ্চ সংখ্যক পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে এসেছেন।
শুক্রবার বিকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের ভিড় ছিল লক্ষ্যণীয়। সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা থেকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার জুড়ে ছিল মানুষের ভিড়।
চট্টগ্রাম থেকে আসা পর্যটক আশরাফ আলী জানান, বর্ষা মৌসুম হলেও কক্সবাজারে দেখা নেই বৃষ্টির। প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে উত্তাল সাগর। পরিবারসহ ঈদের ভ্রমণে অন্যভাবে উপভোগ করছেন তিনি।
ঢাকার দম্পতি তাহমিন খানম ও রফিকুল হুদা জানান, বৃহস্পতিবার রাতেই তারা কক্সবাজার এসেছেন। এসে হোটেল কক্ষ পেতে একটু ভোগান্তি পোহাতে হলেও সকাল থেকে সৈকত ভ্রমণে তা কেটে গেছে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম জানান, ঈদের ৫ দিনে কক্সবাজারে সাড়ে ৩ লাখ পর্যটক ভ্রমণে এসেছেন। যার মধ্যে শুক্রবার ছিল লাখের কাছাকাছি। এসব পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। একই সঙ্গে কাজ করছেন লাইফগার্ড কর্মীরা।
কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী জানান, ঈদের ৫ দিনে পর্যটন খাতে ৫২৫ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। দীর্ঘ মন্দার পর ব্যবসায়ীরা কিছুটা স্বস্তিবোধ করছে। আগামী ২ দিন পর্যটকের উপস্থিতি থাকবে বলে আশা তার।