কাউন্সিলর রব্বানী হত্যা: গ্রেপ্তার ৩, পুলিশ বলছে সরাসরি জড়িত, খুনে ব্যবহৃত পিস্তল উদ্ধার
কক্সবাজারের চাঞ্চল্যকর গোলাম রব্বানী টিপু হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে তিন ব্যক্তিকে মৌলভীবাজার থেকে গ্রেপ্তার করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। এসময় হত্যায় ব্যবহৃত পিস্তলও উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন শাহরিয়ার পাপ্পু (২৯), গোলাম রসুল (২৫) ও ঋতু (২৩)।
পুলিশ জানিয়েছে, তিনজনকে মৌলভীবাজার জেলার জিরি থানাধীন কাপনা পাহাড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বাড়ি খুলনায়।
গত ৯ জানুয়ারি রাতে কক্সবাজারের হোটেল সিগাল-এর সামনে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি গোলাম রব্বানী টিপুকে গুলি করে হত্যা করে।
রহমত উল্লাহ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে, হত্যায় জড়িত কয়েকজন মৌলভীবাজারে অবস্থান করছে। এরই প্রেক্ষিতে শনিবার থেকে কক্সবাজার পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। সোমবার মধ্যরাতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারদের মধ্যে একজন নারীও আছেন। তিনি টিপুর সঙ্গে কক্সবাজারে ঘুরতে এসেছিলেন।
'খুনের পর থেকে ওই নারীর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। তারা তিনজনই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত। নারী সঙ্গী বাদে অপর দুইজন হত্যায় সরাসরি অংশ নিয়েছেন,' বলেন পুলিশ সুপার।
গ্রেপ্তারদের কক্সবাজারে নিয়ে আসা হচ্ছে এবং বুধবার সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান রহমত উল্লাহ।
খুনের পর র্যাব টিপুর সঙ্গী কেসিসি'র আরেক সাবেক কাউন্সিলর শেখ ইফতেখার হাসান সালু ও কক্সবাজারের বন্ধু মেজবাহ উল্লাহ ভূট্টোকে হেফাজতে নেয়। পরে তাদের সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে। তবে রিমান্ড শুনানির তারিখ এখনো নির্ধারণ হয়নি।
নিহত টিপু খুলনার দৌলতপুর থানার দেয়ানা উত্তরপাড়ার বাসিন্দা গোলাম আকবরের ছেলে।