মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য পাথর বহনকারী বিদেশি জাহাজ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড
বৈরি আবহাওয়ায় গভীর সাগরে ভেসে যাওয়া জেড কিংদাউ নামের একটি বিদেশি জাহাজ উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। ভোলার মনপুরা বিচ্ছিন্ন চরনিজাম সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর থেকে শুক্রবার জাহাজটি উদ্ধার করা হয়। কক্সবাজারের মাতাড়বাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য পাথর নিয়ে আসছিল জাহাজটি।
বিষয়টি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কর্নেল কে এম শফিউল কিঞ্জল।
তিনি বলেন, "জেড কিংদাউ নামের জাহাজটি ১৪ জুলাই বঙ্গোপসাগর মোহনায় ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ঢালচরের কাছে ভেসে আসে। এসময় জাহাজটি ছিল নাবিকবিহীন। স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের কাছ থেকে খবর পেলেও বৈরি আবহাওয়ার কারণে গতকাল ঘটনাস্থলে যাওয়া সম্ভব হয়নি।"
"জাহাজটির খোঁজ পেতে ব্যর্থ হয় প্রথম আভিযানিক দল। শুক্রবার আমাদের ভোলা স্টেশনের অপর একটি দল জাহাজটির সন্ধান পায়," যোগ করেন তিনি।
জেড কিংদাউ নামের জাহাজটি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশস্থ কাকিনাদা পোর্ট থেকে বাংলাদেশের মাতাড়বাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ১৩ হাজার টন পাথর নিয়ে আসছিল। পথিমধ্যে গভীর সাগরে বিরূপ আবহাওয়ায় জাহাজটি ভেসে যায়।
"জাহাজের নাবিকদের বিষয়ে কোনো তথ্য আমরা এখনো পাইনি। আমরা জাহাজ ও মালামালের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি," বলেন কর্নেল শফিউল।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আল নোমান টিবিএসকে বলেন, "নাবিকবিহীন একটি বিদেশি জাহাজ ভেসে এসেছে বলে খবর পাই আমরা। এরইমধ্যে খবর আসে স্থানীয় জেলে ও জলদস্যুরা জাহাজটি থেকে মালামাল লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। আমি বিষয়টি দ্রুত চরমানিকা কোস্টগার্ড স্টেশন ও স্থানীয় থানা পুলিশকে জানাই। জাহাজটি হেফাজতে নিতে দেরি হওয়ায় একটি প্রভাবশালী মহল বেশকিছু মালামাল লুট করছেন বলে জেনেছি।"
ঢালচর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদার জানান, নাবিকবিহীন জাহাজটির উপরের অংশ খোলা ছিল।
"একটি ভেকু মেশিন, পাথর ভাঙার মেশিন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় মালামাল রয়েছে এতে। ইতোমধ্যে জাহাজ থেকে ট্রলার বেঁধে মালামাল লুটের একটি ভিডিও ফুটেজে পেয়েছি আমরা," বলেন তিনি।
তবে ভোলা জেলার নিজামপুর কোস্টগার্ড স্টেশনের কনটিনজেন্ট অফিসার মোহাম্মদ আরিফ টিবিএসকে বলেন, "শুক্রবার দুপুরে জাহাজটি আমাদের হেফাজতে নিয়েছি। এসময় জাহাজের আশপাশে থাকা জলদস্যু ও স্থানীয়দের আমরা সরিয়ে দিয়েছি। বর্তমানে আমাদের হায়ার অথরিটি জাহাজটি কিভাবে রেসকিউ করা যায় সেটা নিয়ে জাহাজরে মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছে।"