সীমান্তে নিহত অধিকাংশ বাংলাদেশি অপরাধী: বিএসএফ মহাপরিচালক
ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মহাপরিচালক (ডিজি) পঙ্কজ কুমার সিং বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশিদের অধিকাংশই অপরাধী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পিলখানায় আয়োজিত বিজিবি-বিএসফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫২তম সীমান্ত সম্মেলন শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে বিএসএফের ডিজি বলেন, 'সীমান্তের দুপাশেই ভালো-মন্দ দুধরনের মানুষই আছে। তবে যেসব খারাপ লোক বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ছিল, শুধু তাদেরকেই সীমান্তে হত্যা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চোরাকারবারি, মাদক ব্যবসায়ী ও পাচারকারী রয়েছে।'
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ ও বিএসএফ মহাপরিচালক পঙ্কজ কুমার সিং।
সীমান্তে নিহত ব্যক্তিদের কীসের ভিত্তিতে অপরাধী বলছেন এবং হাঁটুর উপরে গুলি করা টার্গেটেড কিলিং নয় কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে পঙ্কজ কুমার সিং বলেন, 'বিচার ব্যবস্থা ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত বা কোনো অপরাধ না করা পর্যন্ত আমরা কাউকে অপরাধী বলতে পারি না। কোনো মানুষকে অপরাধী চিহ্নিত করলেই হলো না।'
'তবে ডিএমপি, কলকাতা পুলিশ এবং সীমান্ত গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে কথা বলে আমরা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহতদের তথ্য বিনিময় করেই তাদের অপরাধী হিসাবে চিহ্নিত করেছি। সীমান্তে সব অপরাধ দুই দেশের মাফিয়ারা নিয়ন্ত্রণ করে,' যোগ করেন বিএসএফ পরিচালক।
পঙ্কজ কুমার সিং বলেন, শিশু ও নারী পাচারের সঙ্গে জড়িতরাই শুধু অবৈধভাবে সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করে।
সীমান্তে অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান প্রতিরোধ করতে গিয়ে এ পর্যন্ত ৮৯ জন বিএসএফ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে আমরা নন-লিথাল অস্ত্র ব্যবহার শুরু করেছি। বিজিবির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো। সীমান্তের নিরাপত্তায় আমরা একসঙ্গে কাজ করব।'
চলতি বছর (জুন পর্যন্ত) এ পর্যন্ত সীমান্তে পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
সীমান্তে হত্যাকাণ্ড এখনো শূন্যের কোঠায় নামছে না কেন জানতে চাইলে বিএসএফের মহাপরিচালক বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক পশ্চিমা দেশগুলোর চাইতে অনেকটাই আলাদা।
তিনি বলেন, 'আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পর্যায়ে সীমান্তের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করছি। উভয় দেশেই ভালো ও খারাপ মানুষ আছে। সীমান্তে শুধু খারাপ লোকদেরই হত্যা করা হয়েছে।'