দেশে সুনামি সৃষ্টি হবে, সরকার বিদায় নিবে: মির্জা ফখরুল
দেশে সুনামি সৃষ্টি হবে আর সেই সুনামিতে এ সরকার বিদায় নিবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, 'দেশের কী অবস্থা তা এখন নতুন করে বলার দরকার নেই, রাস্তায় বাসের যাত্রীদের জিজ্ঞেস করুন কতো টাকা বাসভাড়া বাড়িয়েছে! রিক্সাচালক, কৃষক,শিক্ষক সবাই কষ্টে আছে। সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে মধ্যবিত্ত, যারা সইতে পারছেন না। দেশে সুনামি সৃষ্টি হবে। সেই সুনামিতে এই সরকার বিদায় নিবে'।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে। স্থিতিশীল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে।
সরকার ডাকাতি করছে, চুরি করছে এমন অভিযোগ করে- মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার ব্যাংকগুলো লুটপাট করছে, কুইক রেন্টাল ৭৮ হাজার কোটি টাকা বিদুৎ উৎপাদন না করেই ক্যাপাসিটি চার্জ দিচ্ছে, ৭ বছরে জ্বালানি তেলের দাম আমাদের পকেট থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা বেশি নিয়ে গেছে, বিশ্ববাজারে এখন দাম কমলেও তারা দাম বাড়িয়েছে।
এতদিন মেট্রোরেল, টানেল, ব্রিজ ইত্যাদির উন্নয়নের গল্প বললেও এখন উল্টো আইএমএফসহ অনেকের সরকার ঋণ চাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।
ইভিএম প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, 'কত সুন্দর করে বলছে ইভিএম মেশিন চায় তারা ৩০০ আসনে, কারণ তারা জানে ইভিএম ছাড়া জেতার উপায় নেই। ইভিএম ভোট দিবেন ধানের শীষে, পড়বে গিয়ে নৌকায়।'
দেশের বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা পাচার হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, 'এতো টাকা পাচার হলেও বিচার নেই, অথচ দেশনেত্রীকে নামমাত্র টাকা আত্মসাতের মিথ্যা মামলায় জেলে বন্দি করে রেখেছে'।
তিনি বলেন, 'গত ১৫ বছরে সরকার ৬০০-র অধিক নেতাকর্মী গুম করেছে। কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে।' তাই সরকারের পতনের জন্য পেশাজীবীদের অতীতের মতো রাজপথে থাকার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, 'এ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বাতিল করতে, নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।'
সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ, দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, ড. তাজমেরী ইসলাম, ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, বিএফইউজে একাংশের সভাপতি এম আবদুল্লাহ প্রমুখ।