নোয়াখালীতে বিএনপি-আ.লীগ সংঘর্ষের ঘটনায় ২ মামলায় গ্রেপ্তার ২১
নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে নোয়াখালীর সদর, সেনবাগ ও চাটখিল উপজেলায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিএনপির ২১ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এদের মধ্যে সেনবাগ উপজেলার ডমুরুয়া ইউনিয়নের গাজীরহাট বাজারে বিএনপি-আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ, আ.লীগ কার্যালয় ও দোকানপাট ভাঙচুরের পৃথক দুই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৪ জনকে।
অপর গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সদরে ৬ ও চাটখিলে ১ বিএনপির নেতাকর্মী রয়েছে।
সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বিএনপির ২১ নেতাকর্মীর গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের দুপুরে বিচারিক আদালতে প্রেরণ করা হবে।
এদিকে, সেনবাগ উপজেলার ডমুরুয়া ইউনিয়নের গাজীরহাট বাজারে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের সময় বাজারের দু'টি দোকান ও ইউনিয়ন আ.লীগের কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ১টি ও আইনশৃঙ্খলা অবনতির ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে ১টি মামলা দায়ের করেছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে বিএনপির অন্তত সাড়ে ৪শত নেতাকর্মীকে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, সেনবাগ পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব মিয়া মো. ওয়ালিদ বিন হায়দার আদনান (২৫), বিএনপির সদস্য মহি উদ্দিন (৪২), জাফর উল্যাহ (৬০), ছাত্রদল কর্মী হাফিজুর রশিদ মানিক (২২), শহিদুল ইসলাম (১৯), আকাশ (১৯), ইমরান হোসেন (১৯), মুরাদ (২৫), হৃদয় (২২), হুমায়ন কবির (৩০), বিএনপি কর্মী ইমাম হোসেন (৪০), আজিজুল হক (৫৪), মোহাম্মদ আলী (৫২), সেচ্ছাসেবদল কর্মী ইশ্রাফিল (৩৮), সদর উপজেলার নোয়াখালী কলেজ ছাত্রদলের সাবে সভাপতি রাসেল (৩০), দাদপুর সাধারন সম্পাদক ফরহাদ হোসেন (৪৩), ইউনুছ (৩০), বিএনপি কর্মী আমিরুল ইসলাম মাসুদ (৪৫), আহসান উল্যাহ হাসান (৪৫), শাহাদাত হোসেন রবিন (২৮) ও পাঁচগাও ইউপি যুবদলের ক্রীড়া সম্পাদক রুবেল হোসেন (৩৫)।
উল্লেখ্য,দেশব্যাপী জ্বালানী তেল ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যে বৃদ্ধি ও ভোলায় বিএনপির দুই নেতা হত্যার প্রতিবাদে গাজীরহাট বাজারে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয় কাজী মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে স্থানীয় বিএনপি। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সভাস্থলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে আসা বিএনপির একটি মিছিল গাজীরহাট মোড়ে পৌঁছলে তাতে বাধা দেয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
এসময় উভয় পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে অন্তত ৮জন আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ কয়েক রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে পুলিশ। ভাঙচুর করা হয় বাজারের দুটি ফল দোকানপাট ও ডমুরিয়া ইউনিয়ন আ.লীগ কার্যালয়।