বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে চীনা কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর
বাগেরহাটের মোংলায় ৫৫ মেগাওয়াটের বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য চীনের একটি কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে চুক্তি করেছে সরকার।
চুক্তিতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে সচিব গোলাম রাব্বানী ও মোংলা গ্রিন পাওয়ার লিমিটেডের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঝু ওয়েনটাও স্বাক্ষর করেন।
শর্তমতে, চুক্তি স্বাক্ষরের ২৪ মাসের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। ২০ বছর মেয়াদী এই কেন্দ্র থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য হবে ১৩ টাকা।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেলো। পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি এ ধরণের প্রকল্প বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতেও শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অন্যতম উৎস হিসেবে বায়ুর আকার দিনে দিনে আরও বড় হবে। উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশের ৯টি স্থানে বায়ু বিদ্যুতের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে বায়ু প্রবাহের তথ্য উপাত্ত (ডাটা) সংগ্রহ করে উইন্ড ম্যাপিং কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। সার্বিক উপযুক্ততা যাচাই করে বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
আমেরিকার ন্যাশনাল রিনিউয়েবল এনার্জি ল্যাবরেটরি প্রদত্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা বিশেষত খুলনার দাকোপ, চট্টগ্রামের আনোয়ারা এবং চাঁদপুরের নদী মোহনার এলাকা সমূহে ১০০ মিটার উচ্চতায় বাতাসের গড়বেগ ৬ মিঃ/সেঃ এর বেশী যা বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনে অত্যন্ত সম্ভাবনাময়।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে যদিও বায়ু থেকে মাত্র ২৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়, ৩টি প্রকল্পের মাধ্যমে ১৪৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ চলমান। ৫টি প্রকল্পের অধীনে আরও ২৩০ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রক্রিয়াধীন, তবুও বায়ুভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্রের আকার আরও বড় হবে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বিদ্যুৎ সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান ও মোংলা গ্রিন পাওয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঝু ওয়েনটাও বক্তব্য রাখেন।