লবণ চাষে মিলবে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ
কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালার আওতায় রেয়াতি সুবিধায় এখন থেকে মাত্র ৪% সুদে সহজ শর্তে ঋণ পাবেন লবণ চাষিরা।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ এ সংক্রান্ত এক সার্কুলার জারি করেছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সমুদ্র উপকূলীয় যেসব এলাকা লবণ চাষের উপযোগী, সেখানে লবণ চাষ মৌসুমে (নভেম্বর মাস থেকে মে মাস পর্যন্ত) রেয়াতি সুদের হারে এ ঋণ দেওয়া হবে।
প্রকৃত লবণ চাষিদের অনুকূলে লবণ চাষের জন্য একক ও গ্রুপ ভিত্তিতে ঋণ বিতরণ করা যাবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, জমি ভাড়া, পানি উত্তোলন খরচসহ এক একরে একজন চাষীর খরচ হয় সর্বোচ্চ ১,৫৩,৫০০ টাকা। যে কৃষক বেশি একর জমি চাষ করবে, ঋণও বেশি পাওয়ার যোগ্য হবে সে।
ঋণ বিতরণের মাস থেকে সর্বোচ্চ ১২ মাসের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে হবে গ্রাহককে।
যেসব লবণ চাষির জমির মালিকানা রয়েছে তাদের মালিকানার সপক্ষে দাখিল করা দলিলপত্র এবং প্রাথমিক জামানত হিসেবে উৎপাদিত লবণ হাইপোথিকেশনের (অভিজ্ঞতার আলোকে লবণ উৎপাদনের সম্ভাব্য পরিমাণ) বিপরীতে রেয়াতি সুদে ঋণ পাবে। বর্গাচাষিদের ক্ষেত্রে জমির মালিক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির প্রত্যয়নপত্র নিতে হবে।
১০ টাকায় খোলা অ্যাকাউন্টে ও কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড ছাড়া লবণ চাষিদের শনাক্তকরণে অন্য কোনো কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে না।
বিতরণ করা ঋণের নির্ধারিত মেয়াদ শেষে কোনো ঋণ সম্পূর্ণ বা আংশিক অনাদায়ী থাকলে রেয়াতি সুদ পাবে না। এক্ষেত্রে ঋণ বিতরণের তারিখ থেকে ব্যাংক নির্ধারিত স্বাভাবিক সুদ হার প্রযোজ্য হবে।
ব্যাংকগুলোর রেয়াতি সুদে বিতরণ করা ঋণ আদায় ও সমন্বয়ের পর ঋণ হিসেবের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট অর্থবছর শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ৪% হারে সুদ ক্ষতিপূরণের আবেদন করবে।
ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে ১০% গ্রাহককে সরেজমিনে যাচাই করে প্রাপ্য সুদ ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার নিজস্ব হিসাব থেকে ব্যাংকগুলোকে সুদ ক্ষতির অর্থ পরিশোধ করে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে তা পুনর্ভরণের ব্যবস্থা করবে।
তবে কোনো ঋণ হিসাবে ৪% এর বেশি সুদ আদায় করলে ঋণ হিসাব সুদ ক্ষতি পুনর্ভরণের জন্য বিবেচিত হবে না।