ধানমন্ডিতে বিউটিশিয়ানকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
রাজধানীর ধানমন্ডিতে এক নারীকে বাসায় ডেকে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই নারী অনলাইনে অর্ডার পেয়ে বাসায় বাসায় গিয়ে বিউটি পার্লারের কাজ করতেন।
মঙ্গলবার রাতে ধানমন্ডি ২৮ নম্বর সড়কের একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। ওই নারীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
বিউটিশিয়ানের স্বামী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সাভারে এক আত্মীয়ের বাসায় ছিলেন তার স্ত্রী। সেখানে থাকা অবস্থায় একজন নারী কল করে ধানমন্ডিতে এসে মেকআপ করে দেয়ার জন্য তাকে অনুরোধ করেন। কল পেয়ে ২৮ নম্বর সড়কে আসার পর কয়েকজন জোর করে একটি বাসায় নিয়ে যায় তাকে। সেখানে অন্তত তিনজন তাকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণকারীদের সঙ্গে এক নারীও ছিলেন।
স্বামী আরও জানান, তার স্ত্রী ৮ থেকে ৯ বছর ধরে বিউটিশিয়ান হিসেবে কাজ করেন। তিনি বাসায় গিয়ে মেকআপ করেন। মঙ্গলবার একটি কল পেয়ে সাভার থেকে ঢাকায় আসেন তিনি।
ধানমন্ডি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া টিবিএসকে বলেন, 'অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করছি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।'
ভুক্তভোগী নারীর বড় ভাই জানিয়েছেন, সাভার থেকে রাইড শেয়ারিংয়ে ধানমন্ডি বয়েজ স্কুলের কাছে এলে ওই নারী একজন পুরুষকে দিয়ে আমার বোনকে রিসিভ করান। এরপর ওই বাসার দোতলায় নিয়ে একটি রুমের ভেতরে তাকে ঢোকানো হয়। এসময় পার্লারের কাজ করানোর কথা বলা ওই নারী টাকার বিনিময়ে তিনজন পুরুষের কাছে ভুক্তভোগী নারীকে দিয়ে যায়। অভিযুক্তদের বয়স ২৫ থেকে ৩৫ এর মধ্যে।
তিনজন পুরুষ আমার বোনকে নেশাজাতীয় কিছু খাওয়ানোর চেষ্টা করে। না খেলে মারধোর করে। পরে জোর করে দীর্ঘক্ষণ ধরে তিনজন ধর্ষণ করে। পরে তার কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে বাসা থেকে বের করে দেয়। বের করে দেওয়ার আগে হুমকি দিয়ে বলা হয়, 'এখান থেকে চলে যাবি, অন্যথায় তোকে মেরে ফেলবো।'
এসময় আমার বোন প্রাণ ভিক্ষা চেয়ে ও এ ঘটনা কাউকে না বলার আকুতি প্রকাশ করে বাসা থেকে অনেক কষ্টে নিচে নেমে এলে অভিযুক্তরা রাস্তায় এসেও হুমকি দিয়ে বলে, 'সোজা বাসায় চলে যাবি।'
ভুক্তভোগীর বড় ভাই আরও বলেন, 'আমার বোন ঘটনাস্থল থেকে রিকশা নিয়ে গাবতলী পর্যন্ত আসে। তার স্বামীকে ফোন দিলে গাবতলী থেকে বোনকে নিয়ে সাভারে যায়। সাভার থেকে বুধবার ভোর ৫টায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।