ঝড়ো হাওয়া-বৃষ্টি, সাতক্ষীরায় ভাঙতে শুরু করেছে বেড়িবাঁধ
সাতক্ষীরায় রাত থেকেই শুরু হয়েছে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত। সেই সাথে বইছে দমকা হাওয়া। উপকূলীয় নদীগুলো উত্তাল হচ্ছে ধীরে ধীরে। খোলপেটুয়া ও কপোতাক্ষ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে সাতক্ষীরার প্রতাপনগর ইউনিয়নের পাঁচটি পয়েন্ট দিয়ে কপোতাক্ষ নদীর বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেখান থেকে লোকালয়ে ঢুকছে পানি।
স্থানীয়রা জানান, এখন গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কপোতাক্ষ নদে জোয়ার। জোয়ারের পানিতে প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাউনিয়া, শ্রীপুর, ফারুক চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে, রুইয়ের বিল চেয়ারম্যানের ঘেরের পাশ ও চুইবাড়িয়া এলাকায় অল্প অল্প বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকছে লোকালয়ে। তবে এখনো মেরামত করা গেলে পানি প্রবেশ বন্ধ করা সম্ভব।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ নির্বাহী প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ তালুকদানকে একাধিকবার ফোনকল দিলেও নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
অন্যদিকে, রোববার সন্ধ্যায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভা করেছে জেলা প্রশাসন। সেখানে জেলার ১৬৬টি সাইক্লোন শেল্টারসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করে প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দিয়েছেন কমিটির সভাপতি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবকদেরও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকেও বাঁধ মেরামতের জন্য জিও ব্যাগ ও সিনথেটিক বস্তা প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয় সভায়।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ জুলফিকার আলী জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংকে ঘিরে উপকূলবর্তী এলাকায় সাত নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে। এর প্রভাব ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। আজ মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানবে। এর মূল আঘাতটি পড়বে বরিশালে। তবে সাতক্ষীরা উপকূল ঘেঁষে যাবে। এর প্রভাবে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০০ কি.মি পর্যন্ত। এছাড়া উপকূলবর্তী নদীতে ৫-৮ ফুট উচ্চতার জ্বলোচ্ছ্বাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।