বরিশাল-ভোলার অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ ও মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বরিশালে সকাল থেকে টানা বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।
উপকূলীয় এলাকায় ইতিমধ্যেই সব নদ-নদী ও খালের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে; নিচু জমি তলিয়ে গেছে পানিতে।
টানা বৃষ্টিতে লোকজন বাইরে বের হতে না পারায় থমকে গেছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
তবে স্থানীয় প্রশাসন সিত্রাং মোকাবেলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। সবাইকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে।
সকাল থেকে বিভাগের অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চল ও বিভিন্ন গ্রামে মোবাইল নেটওয়ার্কও অপ্রতুল।
সাতক্ষীরা, বাগেরহাট প্রভৃতি জেলায়ও নেটওয়ার্ক ঠিকমতো কাজ করছে না বলে জানা গেছে।
স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৫-৬ ফুট উচ্চতার পানি ভোলায়
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এ অঞ্চলে পানির স্তর স্বাভাবিকের চেয়ে ৫-৬ ফুট বেশি উপরে উঠেছে।
ভোলার চরফ্যাশনের ঢালচর বঙ্গোপসাগরের কোলে একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। তীব্র বাতাসে এখানকার অনেক গাছপালা ভেঙ্গে গেছে।
তাছাড়া হুঁশিয়ারি সংকেত বাড়তে থাকায় আতঙ্ক গ্রাস করছে উপকূলবাসীর মধ্যে।
চরফ্যাশনের কৃষক রশিদুল ইসলাম বলেন, "শুরুতে আমরা ঘূর্ণিঝড় নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম না কিন্তু সতর্ক সংকেতের নম্বর বাড়তে থাকায় এখন উত্তেজনা আর ভয়ও বাড়ছে।"
বিভাগের আওতাধীন ছয় জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী উপকূলের মানুষেরা ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিচ্ছেন।