মহামারিতে চাকরি হারানো ৭০% নারী কাজে ফিরেছেন: বিশ্বব্যাংকের সমীক্ষা
বিশ্বব্যাংকের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, করোনা মহামারি চলাকালে চাকরি হারানো প্রায় ৭০ শতাংশ নারী কাজে ফিরে যেতে সক্ষম হয়েছেন। বাকিদের অনেকেই বৃদ্ধ এবং শিশুদের দেখাশোনার মতো হোম সার্ভিসের কাজে জড়িত থাকার কারণে আর কাজে ফিরতে পারেন নি।
সমীক্ষায় আরও দেখা গেছে, মহামারিতে চাকরি হারানো প্রায় সব পুরুষই কাজে ফিরেছেন। তবে অনেকের উপার্জনই আগের তুলনায় কমেছে।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (বিআইডিএস) আয়োজিত এক সেমিনারে সমীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ইকোনমিস্ট (পোভার্টি অ্যান্ড ইক্যুইটি গ্লোবাল প্র্যাকটিস) আয়াগো ওয়াম্বিলে বলেন, "মহামারির কারণে অনেকে আবার দরিদ্র হয়ে পড়েছে।"
কর্মসংস্থান, আয়, দারিদ্র্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং মানব সম্পদের উপর করোনভাইরাস-জনিত মহামারির প্রভাব সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করেন বক্তারা। এসবের ওপর একটি বিস্তৃত জরিপ করার আহ্বান জানান তারা।
ভবিষ্যতে এ ধরনের সংকট মোকাবিলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিশ্চিত করতেও তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বিআইডিএস মহাপরিচালক বিনায়ক সেন বলেন, করোনাকালীন সময়ে বেকারত্বের হার ৯ শতাংশ থেকে দ্বিগুণ হয়ে ১৮ শতাংশ হয়েছে।
"আমরা কনজাম্পশন এবং আয়ের দিক বিবেচনা করে দারিদ্র্য পরিমাপ করছি। কিন্তু করোনা মহামারি আমাদের দেখিয়েছে, যারা এসব দিক থেকে দরিদ্র নয়, যথেষ্ট সঞ্চয় না থাকায় তারাও ভুক্তভোগী হতে পারে।"
'বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মহামারির সামাজিক-অর্থনৈতিক প্রভাব এবং নীতির প্রতিক্রিয়া: ভবিষ্যতের শিক্ষা' শিরোনামের সমীক্ষাতে আরো দেখা যায়, শ্রমবাজারে ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী মানুষের অংশগ্রহণ ৫১ শতাংশ থেকে কমে ৪৯ শতাংশ হয়েছে।
করোনা মহামারির দুই ধাপে বেকারত্ব ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৮ শতাংশ হয়েছে।
আরো দেখা গেছে, অন্তত ৩১ শতাংশ পরিবার মহামারির সময় তাদের জরুরী প্রয়োজন মেটানোর জন্য ২৫ হাজার টাকাও উপার্জন করতে পারেনি। তবে, চলতি বছরের মে মাসে এ সংখ্যা ৪ শতাংশের নেমে এসেছে।