২৪ ঘণ্টা নগরের সমস্যা সমাধানে কাজ করবে উত্তর সিটির ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও আপদকালীন জরুরি সাড়াদান ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনাসহ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকার বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টাই সেবা দিবে ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার।
সোমবার অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারের উদ্বোধন করেন উত্তর সিটির মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ইমার্জেন্সি কমান্ড সেন্টার থেকে দুর্যোগকালীন সাড়াদান ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এটি সারাবছর জুড়েই নিয়মিতভাবে সেন্ট্রাল কমান্ড সেন্টার হিসেবে কার্যক্রম চালাবে। এই সেন্টার থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে জলাবদ্ধতার স্পট, ময়লার গাড়ি ও মশক নিধন কর্মীদের মুভমেন্ট ট্র্যাকিং এবং সবার ঢাকা অ্যাপ কমপ্লেইন, রেভেনিউ, খাল, ফুটপাত ও ফুটওভার ব্রিজের এসকেলেটর, এসটিএস, স্মার্ট স্ট্রিট লাইটসহ বিভিন্ন সেন্সর মনিটর করা হবে।
মেয়র বলেন, নাগরিক সেবা সাধারণ মানুষের কাছে দ্রুততম সময়ে পৌঁছে দিতে এবং জনদুর্ভোগ কমাতে সেন্টারটি ভূমিকা রাখবে।
নগরবাসী যেকোনো সমস্যায় ছবি তুলে লোকেশনসহ 'সবার ঢাকা অ্যাপে'র মাধ্যমে জানালে ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার থেকে দ্রুত সময়ে প্রতিকার পাবে বলে উল্লেখ করেন ডিএনসিসি মেয়র।
মেয়র আরও বলেন, 'আমরা ক্রমাগতভাবে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হই। ভূমিকম্প এবং ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘন ঘন না হলেও জলাবদ্ধতা, মশার হটস্পট, ড্রেন, বর্জ্য, রাস্তা, পাবলিক টয়লেট, পার্ক, স্ট্রিট লাইট, এবং আরও অনেক কিছু নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করছি। সিসি ক্যামেরা ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে সবকিছু নেটওয়ার্কিং সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালনা করবে ডিএনসিসি।
শহরের কোথাও বর্জ্য পড়ে থাকলে, স্ট্রিটলাইট বন্ধ থাকলে, মশার হটস্পট পাওয়া গেলে, পার্ক-মাঠ ও পাবলিক টয়লেটে কোন সমস্যা থাকলে কমান্ড সেন্টারের মাধ্যমে চলে আসবে সব তথ্য এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও জানান মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম।
ইমার্জেন্সি সেন্টার উদ্ধোধনকালে উপস্থিত ছিলেন ডিজাস্টার রেসপন্স এক্সারসাইজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ- ২০২২ এ অংশগ্রহণকারী ৩১৪ সদস্যের একটি দল। এই দলে রয়েছেন ২৭টি দেশের সেনাবাহিনীর ৫৩ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশ স্বশস্ত্র বাহিনীর সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন এনজিওর প্রতিনিধি।
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্টের (ইউআরপি) অধীনে উত্তর সিটির নগর ভবনের ২য় তলায় ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার (ইওসি) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।