শাহবাজপুরের টবগী-১ কূপে ২৩৯ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস রয়েছে: নসরুল হামিদ
ভোলার শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রে টবগী-১ অনুসন্ধান কূপের খনন কাজ সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, "কূপগুলোতে সম্ভাব্য গ্যাসের মজুদ প্রায় ২৩৯ বিলিয়ন ঘনফুট (বিসিএফ)"।
সেখান থেকে ৩০ থেকে ৩১ বছর পর্যন্ত দৈনিক গড়ে ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উৎপাদন সম্ভব হবে বলে জানান মন্ত্রী।
এই গ্যাসের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৮০৫৯.০৮ কোটি টাকা।
নসরুল হামিদ আরও জানান, আগামী জুনের মধ্যে এ প্রকল্পে আরও ২টি কূপ (ইলিশা-১ ও ভোলা নর্থ-২) খনন করা হবে।
৩টি কূপ থেকে দৈনিক সর্বমোট ৪৬ থেকে ৫৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হবে বলেও জানান তিনি।
দেশীয় জ্বালানির উৎস অনুসন্ধানের লক্ষ্যে ২০২২-২০২৫ সময়কালের মধ্যে পেট্রোবাংলা মোট ৪৬টি অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভার কূপ খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
এরই অংশ হিসেবে বাপেক্সের তত্ত্বাবধানে গৃহীত প্রকল্পের আওতায় গ্যাজপ্রমের মাধ্যমে ১৯ আগস্ট ভোলা জেলার শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের টবগী-১ অনুসন্ধান কূপটি প্রায় ৩৫০০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত খননের জন্য কাজ শুরু হয়।
২৯ সেপ্টেম্বর এ কূপের ৩৫২৪ মিটার গভীরতায় খনন কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
কূপ খনন পরবর্তী, কুপে সম্ভাব্য গ্যাস মজুদ ও উৎপাদন হার নিরূপণে গৃহীত কারিগরি পরীক্ষামূলক টেস্টিং (ডিএসটি) কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হয় মঙ্গলবার (১ নভেম্বর)।
সর্বশেষ পরিচালিত ডিএসটি কার্যক্রমে ৩২/৬৪ ইঞ্চি চোক সাইজ ব্যবহার করে উক্ত কূপ থেকে গড়ে দৈনিক ২০ (°০.২০) মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস ফ্লো টেস্ট করা হয়।
শাহবাজপুর গ্যাস ফিল্ড থেকে টবগী-১ কূপ এলাকাটি আনুমানিক ৩.১৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
এদিকে, দেশে বিদ্যুতের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে উল্লেখ করে নসরুল হামিদ বলেন, "নভেম্বর-ডিসেম্বর, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে বিদ্যুতের অবস্থা ভালো হবে। আমরা এখন চিন্তা করছি মার্চ নিয়ে।"
"গত তিনমাসে লোডশেডিং করে অনেক গ্যাস সাশ্রয় হয়েছে, যার কারণে শিল্প কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস দেওয়া সম্ভব হয়েছে," বলেন নসরুল হামিদ।
এই মাস থেকে লোডশেডিং কমা শুরু হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
তাছাড়া, ব্যাক্তিগত গাড়িতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হবে না বলেও জানান তিনি।