কৃষিজমি অনাবাদি ফেলে রাখায় রাঙ্গুনিয়ায় সাড়ে ৩ একর জমি খাস করলো প্রশাসন
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় পরপর তিন বছর কৃষি জমি আবাদ না করায় ৩ একর ৫১ শতক জায়গা সরকারি খাস খতিয়ানে নিয়ে আসা হয়েছে। কৃষি জমি অনাবাদি না রাখা সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসব জমি খাস করে।
জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০ এর ৯২ (১) (গ) ধারা অনুযায়ী কোনো কৃষিজমি পরপর তিন বছর অনাবাদি রাখা হলে তা খাস করার বিধান রাখা হয়েছে। এ ধারার আলোকে উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) এর আগে বিভিন্ন সময়ে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে সর্বস্তরের সব ভূমি মালিককে এ বিষয়ে অবহিত করেন।
পরে বৃহস্পতিবার উপজেলায় একযোগে অভিযান পরিচালনা করে টিসি হাট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের আওতাধীন ৭৭ শতক, কাউখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের আওতাধীন ৭৪ শতক, ঘাগড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের আওতাধীন ১ একর, শিলক ইউনিয়ন ভূমি অফিসের আওতাধীন ১ একরসহ মোট ৩ একর ৫১ শতক অনাবাদি জমি খাস খতিয়ানভুক্তির কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। এসব জমিতে লাল পাতাকা উত্তোলন করে গণ-বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ জামশেদুল আলম বলেন, "চলমান বৈশ্বিক সংকটের প্রভাব সব দেশেই পড়েছে। আর এ সংকট মোকাবেলায় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।"
"খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে দীর্ঘদিন যাবত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনার নির্দেশনা দিচ্ছেন। ইতোপূর্বে সবাইকে বিভিন্নভাবে এ বিষয়ে অবহিত করা হলেও জমি অনাবাদি রাখায় উপজেলা প্রশাসন ও রাজস্ব প্রশাসনের উদ্যোগে এ কর্মসূচি চালানো হয়েছে। এবং এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে," যোগ করেন তিনি।