বিশ্বের জনসংখ্যা এখন ৮০০ কোটি, মানুষের চাপ আর কত বাড়তে পারে? বাংলাদেশ কোন পথে?
৮০০ কোটি তম নবজাতক কে হবে? এই প্রশ্ন উঠেছে জাতিসংঘের সাম্প্রতিকতম জনসংখ্যা বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশের পর। এতে বলা হয়েছে, নভেম্বরের ১৫ তারিখে (মঙ্গলবার) ভুমিষ্ঠ হবে ৮০০ কোটিতম মানব সন্তান। পৃথিবীর জনসংখ্যায় এটি বিশাল বড় এক উত্থান। কারণ জাতিসংঘের তথ্যানুসারে, ২০১১ সালে ৩১ অক্টোবর জন্ম নেয় ৭০০ কোটি তম শিশু। সেখান থেকে মাত্র ১১ বছরের ব্যবধানে শত কোটি বেড়েছে মানব সংখ্যা।
এই বাস্তবতায় দেখা দিচ্ছে আরও অনেক প্রশ্ন। যেমন মানব সংখ্যা বৃদ্ধির চাপ পৃথিবী আর কতোটা বইতে পারবে। বাড়তি মানুষ মানেই অন্ন, বস্ত্র, খাদ্য, চিকিৎসা, বাসস্থান, শিক্ষাসহ মৌলিক চাহিদাও বৃদ্ধি। সঙ্গে অন্যান্য সম্পদ ও পরিষেবার চাহিদা তো আছেই। পৃথিবী যখন জলবায়ু সংকটের মুখে, এই বিনাশী পরিবর্তন থামাতে যখন জোরালো হচ্ছে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বাস্তুসংস্থান সংরক্ষণের তাগিদ– ঠিক তার মাঝে কতটুকু টেকসই হতে পারবে জনসংখ্যার বিস্তার। উদ্বেগ দেখা দিয়েছে এমন অনেক বিষয়ে।
জনসংখ্যা অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি নিয়ে প্রথম উদ্বেগ দেখা দেয় ১৯৬০ এর দশকে। কিন্তু, বর্তমানে পূর্ব ধারণার চেয়েও মারাত্মক হারে বেড়েছে মানুষের পদচারণা। বর্তমানে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, এই প্রবৃদ্ধি স্থায়ী হবে না। তবে কবে নাগাদ জনসংখ্যা সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছাবে ও তার পর কমতে থাকবে- সেসব তারিখ নিয়ে রয়েছে মতভেদ। তবে কিছু গবেষণায় আভাস দেওয়া হয়েছে যে, চলতি শতকের শেষ নাগাদই তা কমতে শুরু করবে।
ফলে আগামী শতকের বিতর্কিত প্রশ্ন হবে– জনসংখ্যা কতদূর পর্যন্ত কমবে?
জাতিসংঘের প্রতিবেদনটির জনসংখ্যা নিয়ে আলোচিত কিছু দিক এখানে তুলে ধরা হলো–
নিম্ন প্রজনন হার ২০৪৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশের জনসংখ্যা ২০ কোটিতে সীমিত রাখবে
একজন নারী তাঁর প্রজনন বয়সে গড়ে যতটি সন্তানের জন্ম দেন, সেটাই টিএফআর বা মোট প্রজনন হার। অর্থাৎ, টিএফআর থেকে দম্পতিরা গড়ে কতটি সন্তান নিচ্ছেন–, তার ধারণা পাওয়া যায়।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রবৃদ্ধি হার ১.১১ শতাংশ, যা ২০৪৫ সালে কমে হবে ০.৩৭ শতাংশ। এর পেছনে মুখ্য ভূমিকা থাকবে নিম্ন প্রজনন হারের। ফলে ওই বছর নাগাদ ২০ কোটির সামান্য বেশি হবে বাংলাদেশের জনসংখ্যা।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছাবে ২০৬১ সালে নাগাদ, তখন তা হবে ২০ কোটি ৬৯ লাখ। তবে চলতি শতকের শেষ নাগাদ তা কমে ১৭ কোটি ৬৪ লাখ হওয়ার আভাস দিয়েছে জাতিসংঘের সামাজিক ও অর্থনীতি বিষয়ক দপ্তর।
'ওয়ার্ল্ড পপুলেশন প্রসপেক্টস ২০২২' শীর্ষক জাতিসংঘ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশে প্রজনন হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
জাতিসংঘের হিসাব অনুসারে, ১৯৭২ সালে এদেশে নারীপ্রতি ৭ জন সন্তান জন্মগ্রহণ করত। ২০২১ সালে সেটি নেমে আসে ১.৯৮ জনে। ২০৪৫ সালে এই গড় কমে দাঁড়াবে ১.৭৬ জনে; ২০৬১ সালে হবে ১.৭৪ জন, এবং ২১০০ সালে ১.৭ জন।
প্রজনন হারের এই প্রবণতা ইঙ্গিত দিচ্ছে, চলতি শতকের শেষে সংকুচিত হতে থাকবে দেশের জনসংখ্যা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংখ্যা বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম বলেন, '(প্রজনন হার কমা) এই সাফল্যের নেপথ্যে অবদান রেখেছেন মাঠপর্যায়ের পরিবার পরিকল্পনা কর্মীরা'। এছাড়া, গণমাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা, শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের অগ্রগতিও এতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে বলে মনে করেন তিনি।
'প্রথম জনমিতিক লভ্যাংশ বা ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড পাওয়ার দিক থেকে আমরা একটি ভালো সময় পার করছি, এটি ২০৩৫ বা ২০৩৭ সাল পর্যন্ত পাওয়া যাবে। বয়স কাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়ে নীতিমালা পর্যায়ে সমন্বিত পরিকল্পনা নেওয়া হলে আমরা এই প্রথম জনমিতিক লভ্যাংশ পাব'।
দ্বিতীয় জনমিতিক লভ্যাংশ ২০৪৭ বা ২০৪৮ সালের পর আসবে। তবে এসময় দেশের শ্রমবাজারে বাড়বে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর উপস্থিতি। তাদের জন্য যথাযথ স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার সুযোগ না থাকলে এবং সরকারি সহায়তা না থাকলে– এটি বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মইনুল ইসলামের মতে, 'আমাদের বর্তমান মানব সম্পদ কাজে লাগাতে হলে– এর মান উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে হবে। বাজারমুখী কারিগরি শিক্ষা দান, স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবে'।
এদিকে ২০১৫ সালেই মেয়াদ পেরিয়েছে বাংলাদেশের জনসংখ্যা নীতি ২০১২- এর। এটি আপডেট করা দরকার বলে জানান মইনুল ইসলাম। পাশাপাশি গ্রাম ও শহর– উভয় পর্যায়েই পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম শক্তিশালী করার প্রতিও তাগিদ দেন তিনি।
১৯৭২ সালের ৬ কোটি ৯৩ লাখ থেকে ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশের জনসংখ্যা স্ফীত হয়ে ১৬ কোটি ৯৪ লাখ হলেও, এই সময়ে কমেছে বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার। ১৯৭২ সালে তা ২.৫৭ শতাংশ হলেও, ২০২১ সালে নেমে আসে ১.১১ শতাংশে।
আর বার্ষিক শূন্য দশমিক ৩৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে ২০৬১ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা এই বৃদ্ধির শিখরে বা ২০ কোটি ৬৯ লাখে উন্নীত হবে। এরপর চলতি শতকের শেষ নাগাদ সেখান থেকে পতন হবে ১৭ কোটি ৬৪ লাখে।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, ২০২১ সাল নাগাদ প্রতি কিলোমিটারে ১,৩০১ জন বসবাস করেছে বাংলাদেশে। জনসংখ্যার এই ঘনত্ব চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের মতো বিশ্বের অন্যান্য জনবহুল দেশের তুলনায় অনেকটাই বেশি।
২০৪৫ সালে এটি আরও বাড়বে, তখন প্রতি কিলোমিটারে বাস করবে ১,৫৪২ জন। আর ২০৬১ সালে তা হবে ১,৫৯০ জন। আর শতাব্দীর শেষ নাগাদ তা কমে হবে ১,৩৫৫ জন প্রায়।
বৈশ্বিক জনসংখ্যা বৃদ্ধি যেভাবে কমবে
জাতিসংঘের প্রতিবেদনটি গত ১১ জুলাই প্রকাশিত হয়। এতে প্রক্ষেপণ করা হয়েছে, ২০৮০ সাল নাগাদ সর্বোচ্চ হবে বৈশ্বিক জনসংখ্যা। তখন পৃথিবীতে বিচরণ করবে ১০.৪ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৪০ কোটি মানুষ। ২১০০ সাল পর্যন্ত এই স্তরেই থাকবে জনসংখ্যা।
তবে এই সময়ের মধ্যেই হ্রাস পাবে উর্বরতা বা প্রজননের হার। উর্বরতা হার কমতে থাকায় ২০৫০ সাল নাগাদ বার্ষিক জনসংখ্যা প্রবৃদ্ধি শূন্য দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসবে বলে জাতিসংঘ অনুমান করছে।
উর্বরতা হ্রাসের এই ঘটনা আবার চলমান ধারাবাহিকতার পরিণতি। যেমন ১৯৬২ ও ১৯৬৫ সালে বৈশ্বিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির বার্ষিক গড় হার ২.১ শতাংশের মতো উচ্চ থাকলেও, ২০২০ সালেই তা কমে ১ শতাংশের নিচে নেমে আসে।
তথ্যগুলি বার্তাসংস্থা এএফপির কাছে উল্লেখ করেন জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের বিশেষজ্ঞ র্যাচেল স্নো।
জনসংখ্যা শিখরে কবে পৌঁছাবে?
প্রত্যাশিত আয়ু এবং সন্তান জন্মদানে সক্ষম জনসংখ্যা বৃদ্ধির ভিত্তিতে জাতিসংঘ প্রতিবেদনে প্রক্ষেপণ করা হয়েছে যে, ২০৩০ সাল নাগাদ জনসংখ্যা বেড়ে হবে ৮৫০ কোটি। ২০৫০ সালে ৯৭০ কোটি এবং ২০৮০ সালে ১ হাজার ৪০ কোটি।
তবে অন্যান্য সংস্থার এনিয়ে আছে ভিন্ন প্রক্ষেপণ।
যুক্তরাষ্ট্র -ভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভাল্যুয়েশন (আইএইচএমই) - এর ২০২০ সালের এক গবেষণার প্রাক্কলন অনুসারে, ২০৬৪ সাল নাগাদই সর্বোচ্চ হবে বিশ্বের জনসংখ্যা। তবে তা ১ হাজার কোটি স্পর্শ করবে না। আর ২১০০ সাল নাগাদ তা কমে হবে ৮৮০ কোটি।
আইএইচএমই গবেষণা নিবন্ধের মুখ্য লেখক স্টেইন এমিল ভলসেট এএফপি'কে বলেন, 'আমাদের প্রক্ষেপণ তাদের (জাতিসংঘের) চেয়ে কম, এবং আমাদের এ ধারণার পেছনে শক্তিশালী যুক্তি রয়েছে'।
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক তার কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, আমরা জাতিসংঘের চেয়ে ভিন্ন ধরনের উর্বরতা হারের মডেল গবেষণায় প্রয়োগ করি, আর তার মাধ্যমে হিসাব করেছি– জনসংখ্যা খুব বেশি হলে ৯০০ থেকে হাজার কোটির মাঝামাঝি কোনো অবস্থানে থাকবে।
উর্বরতা বা প্রজনন হারে পতন
২০২১ সালে বৈশ্বিক গড়ে নারীপ্রতি ২.৩ জন সন্তান জন্মদান রেকর্ড করা হয়, যা ১৯৫০ এর দশকে ছিল পাঁচটি। ২০৫০ সাল নাগাদ এটি কমে ২.১ জন হওয়ার প্রক্ষেপণ করছে জাতিসংঘ।
র্যাচেল স্নো বলেন, 'আমরা এমন এক পর্যায়ে উপনীত হয়েছি, যখন বিশ্বের জনসংখ্যার অধিকাংশ এমন দেশগুলিতে বসবাস করছে– যেখানে প্রজনন হার জনসংখ্যার ঘাটতি পূরণের প্রতিস্থাপন হারের (মৃত্যু হারের) চেয়ে কম বা প্রায় ২.১ জন রয়েছে'।
বাড়বে বিশ্বব্যাপী বয়স্ক জনসংখ্যা
বৈশ্বিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম চালিকাশক্তি ছিল– প্রত্যাশিত আয়ু বৃদ্ধির ঘটনা। ২০১৯ সালে যার বৈশ্বিক গড় ছিল ৭২.৯ বছর বা ১৯৯০ সালের চেয়ে ৯ বছর বেশি। ২০৫০ সাল নাগাদ প্রত্যাশিত গড় আয়ু বেড়ে ৭৭.২ বছর হওয়ার অনুমান করছে জাতিসংঘ। নতুন শিশু জন্মহার বা প্রজনন হার কমার সাথে সাথে এভাবে আয়ু বাড়তে থাকায়– ওই সময়ে মোট জনসংখ্যার অন্তত ১৬ শতাংশের বয়স হবে ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে। ২০২২ সালে বিশ্বে এই বয়সীদের অনুপাত মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ।
কাঁচাপাকা চুলওয়ালাদের এই বাড়বাড়ন্ত গভীর প্রভাব ফেলবে শ্রমবাজারে ও আন্তর্জাতিক পেনশন ব্যবস্থায়। বাড়বে বয়স্কদের পরিচর্যার চাহিদা। র্যাচেল স্নো জানান, এরমধ্যেই বিশ্বের অনেক দেশ তার সংস্থার কাছে জনসংখ্যা কীভাবে বাড়ানো যায়– সে বিষয়ে পরামর্শ চাইছে।
নজিরবিহীন পার্থক্য
বৈশ্বিক গড় দিয়ে সার্বিক চিত্র উঠে আসলেও, আঞ্চলিকভাবে রয়েছে তার সঙ্গে ব্যাপক তারতম্য। যেমন জাতিসংঘ জানাচ্ছে, ২০৫০ সাল নাগাদ মোট বৈশ্বিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির অর্ধেক হবে মাত্র ৮টি দেশ: কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, মিশর, ইথিওপিয়া, ভারত, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন ও তানজানিয়ায়।
এসব অঞ্চলের গড় বয়সও যথেষ্ট ইঙ্গিতবহ বলে জানান র্যাচেল স্নো। যেমন ইউরোপবাসীর গড় বয়স বর্তমানে ৪১.৭ বছর হলেও সাব-সাহারা অঞ্চলে তা মাত্র ১৭.৬ বছর। অর্থাৎ, সেখানে তরুণ জনসংখ্যা ভবিষ্যতেও বেশি থাকবে এবং সন্তান উৎপাদনও তার ফলে বাড়বে।
র্যাচেলের মতে, বয়সের এই ব্যবধান এর আগে কখনোই এতটা প্রকট হয়নি।
কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন, আঞ্চলিক জনসংখ্যার ওই ব্যবধান আগামী দিনের ভূরাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
চীনকে ছাড়াবে ভারত
জনসংখ্যা কাঠামোয় পরিবর্তনের আরেক দৃষ্টান্ত হবে ভারত ও চীন। উভয়েই বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দুই দেশ। কিন্তু, শীর্ষে থাকা চীনকে দ্বিতীয় স্থানে নামিয়ে এগিয়ে যাবে ভারত। ২০২৩ সাল নাগাদই তা ঘটার অনুমান করছে জাতিসংঘ।
বিশ্বসংস্থাটির মতে, চীনের ১৪০ কোটি জনসংখ্যা শিগগিরই পতনের দিকে যাবে, ২০৫০ সাল নাগাদ তা ১৩০ কোটিতে নামতে পারে।
এমনকী চলতি শতকের শেষ নাগাদ চীনের জনসংখ্যা কমে হতে পারে মাত্র ৮০ কোটি। সে তুলনায়, ২০২৩ সালে জনসংখ্যায় চীনকে পেছনে ফেলে, ২০৫০ সাল নাগাদ ভারতের জনসংখ্যা ১৭০ কোটি হওয়ার প্রাক্কলন করেছে জাতিসংঘ। যদিও এরমধ্যেই ভারতে উর্বরতা হার প্রতিস্থাপন হারের চেয়ে কমে গেছে।
২০৫০ সালেও বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ জনবহুল দেশের অবস্থান ধরে রাখবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে সাড়ে ৩৭ কোটি জনসংখ্যা নিয়ে যৌথভাবে একই অবস্থানে থাকবে নাইজেরিয়াও।