শরীয়তপুরে মাছের খামার থেকে লোনা পানির কুমির উদ্ধার
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার পাঁজালকান্দি গ্রামের একটি মাছের খামার থেকে গতকাল রাতে জেলেরা একটি কুমির উদ্ধার করেছেন।
আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে জেলেরা রশি ও শিকল দিয়ে কুমিরটিকে বেঁধে রেখেছিলেন। পরে বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট কুমিরটি উদ্ধার করে খুলনায় নিয়ে যায়।
সুন্দরবনের বাসিন্দা খামারটির এক শ্রমিক রাশেদুল ইসলাম খামারের গর্তের মুখে পায়ের ছাপ দেখে কুমিরের চলাফেরা আছে সেখানে এমন আশঙ্কা করেন। তারা ফাঁদ পাতেন কুমিরটি ধরতে।
সকালে খবর পেয়ে শরীয়তপুর জেলা বন বিভাগের কর্মকমতারা ছুটে আসেন। পর্যক্ষেণের পর নিশ্চিত হলে খবর দেন বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটকে। ঢাকা থেকে ৫ সদস্যের একটি টিম আসে ঘটনাস্থালে।
এরপর স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে সুন্দরবনের বয়রায় এবং পরে করমজল অঞ্চলের ব্রিডিং সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বন বিভাগের বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট প্রধান মোঃ সানাউল্লাহ পাটোয়ারী।
কুমিরটি লোনা পানির কুমির বলে জানিয়েছে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
যে এলাকার মাছের খামারে কুমিরটি পাওয়া গেছে তার থেকে অন্তত ৪ কিলোমিটার দূরত্বে মেঘনা নদী। দুই কিলোমিটার দূরত্বে খাল রয়েছে। আর মাছের খামারের তীর উচু হওয়ায় বর্ষায় তাও তলিয়ে যায় না।
আলওয়ালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওসমান গনি বলেন, "এমন একটি বদ্ধ মাছের খামারে কীভাবে কুমির এসেছে সেটা একটা প্রশ্ন। এমন ঘটনায় এলাকার মানুষ আতঙ্কিত। আমরাও চিন্তায় পরেছি।"
কীভাবে নোনা পানির কুমির মিঠা পানির মাছের খামারে আসল তা তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাফী বিন কবির।