এবার গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে বিতরণ কোম্পানির প্রস্তাব
পাইকারিতে বাড়তেই খুচরা বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) হাজির হলো- বিতরণ কোম্পানি। গ্রাহক পর্যায়ে দাম বৃদ্ধির প্রথম প্রস্তাব দিয়েছে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো)। খুলনা বরিশালসহ দক্ষিণ-পশ্চিমের ২১ জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ করে প্রতিষ্ঠানটি।
ওজোপাডিকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জি. মো. আজহারুল ইসলাম গ্রাহক পর্যায়ে দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত রোববার (২০ নভেম্বর) খুচরা পর্যায়ে ২০ শতাংশ দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। মূলত পাইকারি দাম বাড়াতে খুচরা বিদ্যুৎ বিক্রির প্রভাব বিবেচনা করে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, 'আমরা এখনও আবেদন করিনি। কিন্তু আবেদন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এখনও আমার অফিসে এ বিষয়ে কাজ চলছে।'
পাইকারি বা বাল্ক রেটে বিদ্যুৎ কেনে বিতরণ কোম্পানিগুলো। সোমবার (২১ নভেম্বর) বিদ্যুতের যে দাম বাড়ানো হয়েছে- এর কোনো প্রভাব গ্রাহক পর্যায়ে না পড়লেও বিতরণ কোম্পানিগুলো এতে লোকসান করবে। বিতরণ কোম্পানি তাদের লোকসান পোষাতে গ্রাহক পর্যায়ে দাম বৃদ্ধির আবেদন করে। এই আবেদনের ওপর শুনানি করে কমিশন গ্রাহক পর্যায়ে দাম নির্ধারণ করে দেয়। গ্রাহক পর্যায়ে কমিশন দাম নির্ধারণ করার আগপর্যন্ত বিতরণ কোম্পানিগুলো বিদ্যুতের পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির জন্য গ্রাহকের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করতে পারে না।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ছাড়াও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি), ঢাকাতে ডেসকো, ডিপিডিসি এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে ওজোপাডিকো এবং উত্তরাঞ্চলে নেসকো বিদ্যুৎ বিতরণ করে থাকে।
সোমবার পাইকারি বিদ্যুতের দাম ১৯.৯২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এতে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ৫ টাকা ১৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ২০ পয়সা করা হয়।