বাংলাদেশ, পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় ৫,৫০০ ক্যামেরা বসাচ্ছে ভারত
বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সংলগ্ন ভারতীয় সীমান্তে সাড়ে ৫ হাজার নিরাপত্তা ক্যামেরা স্থাপনের পাশাপাশি ড্রোন এবং অন্যান্য নিরাপত্তা নজরদারি সামগ্রী কিনতে যাচ্ছে ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)।
এ লক্ষ্যে প্রতিবেশী দেশের কেন্দ্রীয় সরকার ইতোমধ্যেই ৩০ কোটি রুপি (প্রায় ৩.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) মঞ্জুর করেছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) ভারতের দিল্লিতে ফোর্সের বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে বিএসএফের মহাপরিচালক পঙ্কজ কুমার সিং এই তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, "আমরা প্রায় সাড়ে ৫ হাজার সিসিটিভি নজরদারি ক্যামেরা ও কিছু অন্যান্য গ্যাজেট পেয়েছি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ক্রয়ের জন্য ৩০ কোটি টাকার তহবিল অনুমোদন করেছে।"
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান উভয় সীমান্তবর্তী এলাকায় শীঘ্রই সাড়ে ৫ হাজার নিরাপত্তা ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।
সীমান্তের ওপার থেকে ড্রোনের ব্যবহারকে একটি 'প্রধান চ্যালেঞ্জ' হিসেবে অভিহিত করে তিনি জানান, এরজন্য তাদের কাছে এখনও কোনো নিখুঁত সমাধান নেই। তবে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ, ড্রোন চলাচল ও অন্যান্য অপরাধমূলক কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ এবং রোধে 'স্বল্প মূল্যের' প্রযুক্তিগত সমাধান পেয়েছে বিএসএফ।
তিনি বলেন, "আমরা আগামী দিনে সমাধান খুঁজে পাবো এবং আমরা ক্রমবর্ধমানভাবে ড্রোন শনাক্ত এবং ধ্বংস করছি।"
"আমরা সীমান্ত এলাকায় ব্যাপকভাবে নজরদারি বাড়ানোর চেষ্টা করেছি। এর জন্য পশ্চিম ও পূর্ব দিকে (যথাক্রমে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ) নজরদারি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে," যোগ করেন বিএসএফ মহাপরিচালক।
তিনি আরও জানান, বিএসএফ স্বল্প খরচে কিছু প্রযুক্তিগত সমাধান নিয়ে এসেছে। এগুলো ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় কার্যকরভাবে নিরাপত্তা নজরদারি বাড়াতে সাহায্য করবে। একই ধরনের সরঞ্জাম বিদেশ থেকে কিনতে গেলে খরচ হয় অনেক বেশি। তাই দেশেই বিএসএফ স্বল্প খরচের সেন্সর এবং নজরদারি ডিভাইস তৈরি করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।